তুরস্ক ১১ জুলাইকে ‘স্রেব্রেনিকা গণহত্যা স্মরণ দিবস’ ঘোষণা করল

0

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বিভীষিকাময় ঘটনা হিসেবে পরিচিত স্রেব্রেনিকা গণহত্যা। এই নিষ্ঠুর বর্বতায় যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের স্মরণে ১১ জুলাইকে গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক।
বুধবার সরকারি গেজেটে ডিক্রি জারি করেছে দেশটির রাষ্ট্রপতির দপ্তর।

১৯৯২ সালে সাবেক যুগোস্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর বসনিয়ার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। যুগোস্লাভিয়া গঠনের নেতৃত্বে ছিল সার্বিয়া। সার্বিয়ানরা চায়নি আলাদা আলাদা স্বাধীন দেশ হোক।

১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর বিদ্রোহী সার্ব মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে হত্যাযজ্ঞের শিকার হন হাজার হাজার বসনিয়ান নাগরিক। শুধু ১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে প্রাণ হারায় আট হাজারেরও বেশি মানুষ।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘১১ জুলাই স্রেব্রেনিকা গণহত্যার স্মরণের আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে গৃহীত হচ্ছে। মর্মান্তিক এই বেদনা ভাগ করে নিতে গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের নিন্দা জানাতে চাই আমরা।’

‘এই দিবসের মাধ্যমে বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান, শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে। একই সঙ্গে স্রেব্রেনিকা গণহত্যার শিকারদের সম্মানে জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ নেওয়া হবে’।

তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘আমরা শ্রদ্ধা ও করুণার সঙ্গে স্মরণ করছি আমাদের বসনিয়ার ভাই ও বোনদের। যারা ২৯ বছর আগে স্রেব্রেনিকা গণহত্যায় শহীদ হয়েছিলেন।’

আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ৬ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে স্রেব্রেনিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেও এই গণহত্যা থামাতে পারেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এত বড় গণহত্যা আর হয়নি।

তথ্যসূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com