দেশবিরোধী চুক্তি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতেই বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করছে সরকার: রিজভী

0

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশবিরোধী চুক্তি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতেই পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করছে সরকার। যখন বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তখন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘুমায় না কী করে- সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার জন্য তাদের (গোয়েন্দা সংস্থা) গঠন করা হয়ে কি না সেই প্রশ্নও তুলেছেন এই বিএনপি নেতা।

বুধবার (১০ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব প্রশ্ন করেন।

রিজভী বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গোটা জাতিকে একটা ইস্যুপ্রেমি বানানোর চেষ্টা করছে এই ডামি সরকার। সে কারণে একেক সময় একেক ঘটনা ঘটাচ্ছে সরকার। অর্থাৎ তুমি ওইদিকে তাকাও, আমি যা করছি সেদিকে তাকাবে না।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেেশে তিনি বলেন, বেনজীররা যে দুর্নীতি করেছে, আজিজরা যে দুর্নীতি করেছে, অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা যে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে আপনি কি এগুলো দেখেন না? আপনার এজেন্সিগুলো, আপনার গোয়েন্দা বাহিনীগুলো কী করে? তারা কি দেখে না? তাদের কি শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার জন্যই কি তৈরি করা হয়েছে? তা না হলে একজন পিয়ন কী করে ৬০ কোটি টাকার মালিক হন। একজন ড্রাইভার যদি ১০০ কোটি টাকার মালিক হন সেটা কি আপনার সরকার জানবে না?

রিজভী বলেন, যখন বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তখন কি গোয়েন্দা বিভাগ বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে? যখন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তখন তারা কী করে? তারা কি দিনের বেলায় ঘুমায়? তা না হলে এত দুর্নীতি হয় কী করে?

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজ বাংলাদেশের বুক চিরে পার্শ্ববর্তী দেশের রেললাইন নিয়ে যাবে, আমাদের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার জন্য এই কাজগুলো করা হচ্ছে। অথচ আমাদের সীমান্তে যখন এ দেশের নাগরিকদেরকে হত্যা করা হয়, রক্তাক্ত করা হয়, তখন এই সরকার কোনো প্রতিবাদ করে না, তারা নিশ্চুপ হয়ে যায়। অথচ সেই দেশের স্বার্থে আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে রেলের করিডোর দেওয়া হচ্ছে।

রিজভী বলেন, প্রতিবেশী দেশ তাদের রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশের জমিনকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে একটা চিরস্থায়ী আন্তর্জাতিক চক্রান্ত, আন্তর্জাতিক খেলাধুলার মধ্যে ফেলে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা তারা হাতে নিয়েছে। সে কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে দিচ্ছেন নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য, দেশবিরোধী সব চুক্তি করার জন্য। তাই কখনো আমরা দেখছি আজিজ কাণ্ড, কখনো দেখছি বেনজীর কাণ্ড, কখনো দেখছি পিএসসির ড্রাইভার কাণ্ড, কখনো দেখছি মতিউর কাণ্ড- একের পর এক কাণ্ড আমরা দেখতে পাচ্ছি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, সব নির্যাতনের পরও সত্যের জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য এবং মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য আমাদের লড়াই, আমাদের রাজনীতি আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

রাজধানীর রামপুরায় একটি মাদরাসায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com