ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তির কোনোটাই বাংলাদেশকে লাভবান করবে না: গণতন্ত্র মঞ্চ

0

গণতন্ত্র মঞ্চ অভিযোগ করেছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত সার্ককে পরিকল্পিতভাবে অকার্যকর করে রেখেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন মঞ্চের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এদিন বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় মঞ্চ।

গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তির কোনোটাই বাংলাদেশকে লাভবান করবে না বরং বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। বাংলাদেশের জনগণ কোনোভাবেই নিজের অর্থ খরচ করে পরের জন্য এই ঝুঁকি নিতে পারে না। ভারত অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়। কারণ দক্ষিণ এশিয়াকে একটা পিপলস ফেডারেশন ইউনিয়নে পরিণত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ভারত তা হতে দিতে চায় না। এজন্যই তারা সার্ককে পরিকল্পিতভাবে অকার্যকর করে রেখেছে।

ট্রান্স-এশিয়ান কানেক্টিভিটিকে কার্যকর করার পক্ষে শুধুমাত্র ভারতীয় স্বার্থ রক্ষার একপাক্ষিক এ ধরনের উদ্যোগে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতার বিরোধিতা করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের মর্যাদাকে ভূলণ্ঠিত করে সরকার যেসব অসম চুক্তি করছে, সেটার তো একটা বিনিময় আছে, এই চুক্তির বিনিময়ে তারা গদিতে থাকতে চান। ভারতকে নানাভাবে ট্রানজিট-করিডোর কিংবা সমুদ্র বিজ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ গবেষণা, ইত্যাদি চুক্তির নামে প্রকারান্তরে মোংলা বন্দরে ভারতের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে বলা হয়, পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বহু বছর কথাবার্তা হচ্ছে। একমাত্র গঙ্গাচুক্তি ছাড়া আরও যে ৫৩টি যৌথ নদী আছে, সেগুলোর কোনোটা নিয়ে আমরা চুক্তি করতে পারিনি। তিস্তার চুক্তি ২০১১ সালে প্রস্তুত হলেও তা স্বাক্ষর হয়নি। এই চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি। এর সঙ্গে আমাদের উত্তরাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের ভাগ্য জড়িত। এ চুক্তির বিষয়ে ভারতের দিক থেকেও অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু এবার ঘোষণায় এ চুক্তি নিয়ে কোনওও কিছু উল্লেখ নেই।।

সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী বক্তব্য রাখেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com