দেশ এখন লুটেরাদের কবলে, বাজেটে নতুনভাবে লুটের পরিকল্পনা করা হয়েছে: বিএনপি

0

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি বলেন, দেশ এখন লুটেরাদের কবলে।

এ বাজেটও হয়েছে লুটেরাদের জন্য। বাজেটে নতুনভাবে লুটের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত তথাকথিত বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আয়ের যেসব খাত দেখানো হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের ওপর গিয়ে বোঝাটা পড়বে। ব্যয় মেটানোর জন্য যা করবে, সেটাও সাধারণ মানুষের ওপরই গিয়ে পড়বে। এ বাজেট হলো ঋণনির্ভর। সবটাই গিয়ে পড়বে মানুষের ওপর। বাজেটের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো এখানে কর্মসংস্থান তৈরির মতো কোনো নির্দেশনা নেই। পুরো বাজেট মেগা প্রকল্পের, মেগা চুরি ও দুর্নীতির জন্য করা হয়েছে। সুতরাং এটি শুধু তথাকথিত গণবিরোধী নয় এটি বাংলাদেশবিরোধী বাজেট।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষ বোঝা আর টানতে পারছে না। চরম মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের যে দাম বেড়েছে, তা তাদের জন্য সহনীয় নয়। কয়েকদিন আগেই পেট্রল-ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেছে। বাজেটের পর আবারও এসবের দাম বাড়বে। আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির ফলে প্রতি বছর চারবার করে দাম বাড়বে।

ফখরুল বলেন, বাড়তি পয়সা আমরা কেন দিচ্ছি? বিদ্যুৎ খাতে যে চুরি হয়েছে, সেটা সবাই জানে। কুইক রেন্টাল থেকে শুরু করে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনাসহ সবই তাদের (সরকার) পকেট ভারী করেছে। রূপপুর প্ল্যান্ট তো আর এগোচ্ছে না। কোথায় গেল পায়রা বন্দর, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ?

তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, কোন রাস্তায় সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করছেন? মানুষ তো আর পারছে না। বহু মানুষ কিন্তু শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে। কারণ তারা ঢাকা শহরে আর টিকতে পারছে না। আর গ্রামে গিয়েও বিপদে পড়ছে, কারণ সেখানে কর্মসংস্থান নেই।

বৈধ আয় এবং কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা ন্যায়ভাবে আয় করে তাদের ওপরই তো পুরো চাপটা পড়ে। অন্যায়কারীদের জন্য কিছু হয় না। কী করে একজন সরকারি কর্মকর্তা হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হন? সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান কী করে এতো সম্পদ তৈরি করেন? এমন অনেক ঘটনা আছে। মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে পারলেন না। এটি সুশসানের অভাব এবং সরকারের চরম ব্যর্থতা। এখানে সরকারের চার-পাঁচজন সংসদ সদস্য জড়িত। কোথায় যাবে মানুষ? তাদের দাঁড়াবার জায়গা নেই।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com