জনগণ যখন ধাওয়া দেয়, তখন সকল গুণ্ডারা পালিয়ে যায়, সরকারকেও পালাতে হবে: সাকি

0

যুগপৎ আন্দোলন দমানোর জন্য সরকার এখন পুলিশ ও তাদের গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, কিন্তু জনগণ যখন নামে, জনগণ যখন ধাওয়া দেয়, তখন সকল গুণ্ডারা পালিয়ে যায় এবং পালিয়ে যাওয়াই তাদের নিয়তি হয়ে দাঁড়ায়। আপনারা (সরকার) এখন পালানোর প্রস্তুতি নেন। কারণ জনগণ ধাওয়া দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

শনিবার  (১১ ফেব্রুয়ারি) গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রা কর্মসূচির পূর্ব মুহূর্তে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেছেন। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ পদযাত্রা কর্মসূচি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে মতিঝিলে গিয়ে শেষ হয়।

সাকি বলেন, আজকে এই সরকারের পেটুয়া গুণ্ডা বাহিনী সারাদেশে বিরোধী দলের ওপর হামলা করছে। গণতন্ত্র মঞ্চের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। বিভিন্ন জেলায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের আন্দোলনে অংশ না নেয়ার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অবস্থা আজকে এমন জায়গায় এসেছে, নির্বাচনে হিরো আলমকেও জেতাতে সাহস করে না। ওবায়দুল কাদেরের প্রতিদ্বন্দী এখন হিরো আলম। রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ নিজেদের অবস্থা এমন জায়গায় এনেছে, হিরো আলম তাদের চ্যালেঞ্জ করছে, আর ওবায়দুল কাদেরের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সাহস নেই।

তিনি আরো বলেন, লুটপাট, দুর্নীতি, দেশকে বিভাজিত করে এই দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে ফেলাই হচ্ছে এই সরকারের কাজ। এটাই তারা করতে থাকবেন। বিভিন্ন দেশের কোম্পানি ও সরকারকে সুবিধা দিয়ে কিভাবে ক্ষমতায় থাকা যায় তারা (সরকার) এখন সেই চেষ্টা করছেন। ভাবছে আদানিকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার সুযোগ দিলেই মনে হয় ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে। এভাবে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় থাকার আপনাদের যে স্বপ্ন-বিলাস, তা দেশের মানুষ ভেঙে চুরমার-তছনছ করে দিবে।

সাকি বলেন, আজকে তারা (সরকার) পুরো দেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করলে, ওই দেশে আর কিছু ধ্বংস করতে হয় না। ওনারা (সরকার) সেই ব্যবস্থা নিয়েছে। যেখানে শিক্ষা দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয়, সেখানে তারা শিক্ষা দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার সমস্ত নীতি কার্যকর করছে। আবারো ক্ষমতায় থাকার সুবিধা করার জন্য তারা এটি করছে। দেশ ও জাতিকে বিভক্ত করে আপনাদের (সরকার) ক্ষমতায় থাকার এই স্বপ্ন জনগণ ভেঙে চুরমার করে দিবে।

তিনি বলেন, এই সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং আগামী সংসদে রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক গুনগত সংস্কার আদায় ছাড়া জনগণ রাজপথ থেকে ফিরবে না। এ তিনটি বিষয় দেশের জনগণের ভাগ্য নির্ধারণে এক সুতায় গাঁথা হয়ে গেছে। কাজেই এই লড়াইয়ের যে শক্তি, এই লড়াইয়ের যে নৈতিক ভিত্তি, তা এই দেশের ১৮ কোটি মানুষের সত্ত্বার সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে যুক্ত। একে মোকাবিলা করার সামর্থ্য এই সরকারের নেই।

তিনি আরো বলেন, আন্দোলন দমানোর জন্য তারা (সরকার) এখন পুলিশ ও তাদের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন করছেন। কিন্তু জনগণ যখন নামে, জনগণ যখন ধাওয়া দেয়, তখন সকল গুণ্ডারা পালিয়ে যায় এবং পালিয়ে যাওয়াই তাদের নিয়তি হয়ে দাঁড়ায়। ওবায়দুল কাদের সাহেব তো কোথায় পালাবেন সেটাও ঠিকঠাক করে ফেলেছেন। অতএব, পালানোর জায়গা যেহেতু ঠিক হয়ে গেছে, এখন পালানোর প্রস্তুতি আপনারা নেন। কারণ জনগণ ধাওয়া দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংগ্রাম এখন চলছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমরা বিরোধী দলগুলো একটি যৌথ ঘোষণার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। অচিরেই একটি যৌথ ঘোষণার ভিত্তিতে এই যুগপৎ আন্দোলন আরো জোরদার হবে। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com