ঢাকায় শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্য আশা করেছে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে শনিবারের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। যেখানে ভোটারেরা উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন।
ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন নিয়ে এই আশাবাদের কথা জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিকভাবে বের হওয়ার বিষয়ে রবার্ট ডিকসনের বাসায় দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যুক্তরাজ্য আশা করেছে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে শনিবারের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। যেখানে ভোটারেরা উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন।
ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন নিয়ে এই আশাবাদের কথা জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিকভাবে বের হওয়ার বিষয়ে রবার্ট ডিকসনের বাসায় দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাজ্য কাল শুক্রবার ইইউ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। তবে নতুন প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আগে ১১ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন একটি সময়ের মধ্য দিয়ে যাবে যুক্তরাজ্য। এই সময়টাতে যুক্তরাজ্যকে ইইউর নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হবে।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস আজ বৃহস্পতিবার তাদের ফেসবুক পেজে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে এই আশাবাদের কথা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, আমরা ঢাকার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক সিটি করপোরেশন নির্বাচন কামনা করছি। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হাতে হাত রেখে চলে।
দুই সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রধান দুই দলের চার প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেছেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তাঁর প্রত্যাশা জানতে চাইলে, রবার্ট ডিকসন বলেন, চার প্রার্থীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আলোচনা করেছি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। নির্বাচন নিয়ে অনেকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি বাংলাদেশের জন্য এক কৌতূহল উদ্দীপক আর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এটা একটি বৃহৎ নির্বাচন যেখানে ৫০ লাখের বেশি ভোটার গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার সুযোগ পাবেন। আমি আশা করব, জনগণ উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধে এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবেন। আর ভোটের ফলাফল হবে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে। শনিবারের নির্বাচন কেমন হচ্ছে তা নিয়ে কূটনীতিক সম্প্রদায়ের অন্যদের সঙ্গে আমিও দেখব।
ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা গত বুধবার রবার্ট ডিকসনের বাসায় একটি বৈঠক করেন, যা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার বলেন, বিভিন্ন শ্রেণির লোকজনের সঙ্গে দেখা করাটা কূটনীতিকদের স্বাভাবিক কাজের অংশ। গত বুধবার যে বৈঠক হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার স্বার্থে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সবার জন্য সমান ক্ষেত্র নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সন্ত্রাসমুক্ত হবে। আর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ কোথাও সহিংসতার জায়গা থাকতে পারে না।