পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল, শিক্ষককে অব্যাহতি, ৬৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

0

পিএইচডি অভিসন্দর্ভে ৯৮ ভাগ নকল করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ছিলেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সভার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। শিক্ষক আবুল কালাম লুৎফুর কবীরকে অব্যাহতির পাশাপাশি অভিযোগটি তদন্তে একটি কমিটিও করা হয়েছে।

একজন সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, সিন্ডিকেট সভায় ২১ জানুয়ারি প্রথম আলো অনলাইনে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষক আবুল কালাম লুৎফুর কবীরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনটিতে বলা হয় ৯৮ শতাংশ হুবহু নকল পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) মাধ্যমে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। এই গবেষণার সহতত্ত্বাবধায়ক অভিযোগ করেছেন, একাধিকবার অনুরোধ করলেও লুৎফুল কবীর তাঁকে থিসিসের কোনো কপি দেননি।

২০১৪ সালের দিকে ‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক ওই নিবন্ধের কাজ শুরু করেন আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। তাঁর এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ আর সহতত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

৬৭ জন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির জন্য ৬৩ জন এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৪ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩ জনকে এবং ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগে নয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ও টিএসসিতে গত বছরের ২৫ অক্টোবর সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের জন্য ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com