রক্ষীবাহিনী তৈরি করে ‘২০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা’কে হত্যা করেছে আ.লীগ: ড. মোশাররফ

0

রক্ষীবাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আওয়ামী লীগ হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন। আফরোজার সভাপতিত্বে মানববন্ধন পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরীর নেতারা। বিএনপির গ্রেফতার হওয়া সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিত মানববন্ধনটি আয়োজিত হয়।

ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা যখনই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেই, সরকার তখনই বলে আমরা নাকি ভায়োলেন্স করব। অথচ আওয়ামী লীগের আমলে রক্ষীবাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগের সমাবেশ থেকে আমরা ১০ দফা ঘোষণা দিয়েছিলাম। যার মূল কথা ছিল , এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল। এদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। এদেশের মানুষ যাতে নিজের হাতে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্নভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করছে। সত্যের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই এ ধরনের কথা বলে দেশের জনগণকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়। এরা গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে দিনের ভোট রাতে করে; গায়ের জোরে। এদেশের রাষ্ট্র কাঠামো একটি একটি করে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। সে সময় তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল। এই দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে তারা লুটপাটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা করেছিল। তাদের আমলে রক্ষী বাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল। গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছিল তাদের আমলে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমান উল্লাহ আমান বলেন, এ সরকার ১৪ ও ১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায় কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি। আমরা বলতে চাই, ১৪ সাল এবং ১৮ সাল ভুলে যেতে হবে। এই বাংলাদেশে নির্বাচন হলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেটা যদি আপনি না করেন। তবে ৫২, ৬৯, ৯০ -এর মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। তার অধীনে নির্বাচন হলে ইনশাল্লাহ জনগণের সরকার নির্বাচিত হবে। সেই সরকার হবে বিএনপি সরকার।

মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগের বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে সরকার ক্র্যাকডাউন করে হাজার হাজার গ্রেফতার করেছে। তারা সমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এই সরকারের আমলে নারীরা বেশি নির্যাতিত হয়েছে। নারীরা কান্না করে গুম, খুন, গ্রেফতার হওয়া স্বামী-সন্তানদের জন্য। গুলি করে আমাদের ভাইদের হত্যা করছে। আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা আর ভয় করি না। এ সময় নারী নেত্রীসহ গ্রেফতার হওয়া বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com