বিএনপি নেতা ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৭
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ দলটির ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বরিশালের গৌরনদী থানায় মামলা হয়েছে। পেট্রল বোমা নিক্ষেপ, আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর ও যুবলীগের ৬ নেতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগে রাসেল রাঢ়ি নামের এক যুবক মামলাটি করেছেন। এরই মধ্যে এই মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে রাসেল নিজেকে একজন পরিবহন শ্রমিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন রাসেল গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা ইউনিয়ন যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে কয়েকমাস আগে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে, এরই মধ্যে মামলার ৭ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে দলের নেতারা দাবি করেছেন।
বিএনপি নেতারা আরও বলেন, বরিশালে গণসমাবেশে আসার পথে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলা করেন মহিলাড়ার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় তার পেছনে থাকা কয়েকটি গাড়িতে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এতে ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে থাকা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মী আহত হন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহর গৌরনদীর মাহিলাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকা অতিক্রমকালে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। বিষয়টি নিষেধ করায় বহরের গাড়ি থেকে নেমে রড ও লাঠিসোটা নিয়ে ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা যুবলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে যুবলীগ নেতাকর্মীদেরকে লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়া আটটি মোটরসাইকেল ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। হামলায় ইউনিয়ন যুবলীগের ৬ নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলাস কবিরাজকে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় বাদী রাসেল রাঢ়ির মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ করা হয়েছে মামলার এজহারে।
মামলায় ইশরাক হোসেন ছাড়াও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু, সজল সরকার ও জাফরসহ ৭০ জনের নাম এবং অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় রাসেল রাঢ়ি নামে একজন পরিবহন শ্রমিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বিস্ফোরক আইনের ধারাসহ বেশকয়েকটি ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।