বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না: সাকি
বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, সরকার বলবে আসেন নির্বাচন করি। নির্বাচন-নির্বাচন খেলা চলবে। কিন্তু নির্বাচনে আসলে আপনি আর ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দেওয়ার কোনো অধিকার থাকবে না।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে গণসংহতি আন্দোলনের ‘সংগ্রামের দুই দশক ও রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের ৭ বছর’- পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকে দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে তারা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে। তারা ১০ লাখ কোটি টাকার ওপরে পাচার করেছে। একদিন না একদিন ধরা পড়ে যাবে সেই ভয়ে আরেক দেশে যাতে আশ্রয় নিতে পারে সে ব্যবস্থা করে রাখছে। যে দেশের সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়, সেই দেশে রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের বিচ্ছিনতা ঘটে যায়। নাগরিকদের সার্বভৌমত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) হুমকি দিচ্ছে মানে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাদের ধাক্কা মারলেই পড়ে যাবে। এই সরকারের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। আমাদের সম্মিলিতভাবে লড়তে হবে। সব বিরোধীদল যার যার অবস্থান থেকে আসুন বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলি। যার যার অবস্থান থেকে একটি অভিন্ন লক্ষ্যে লড়তে হবে।
অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, এই সরকার হচ্ছে মানুষকে লাথি মারা, মানুষের জবান কেড়ে নেওয়ার, টাকা পাচার করার, মিথ্যা কথা বলার, মানুষকে ভয় দেখানোর সরকার। এক কথায় এই সরকার একটা জালেম সরকার। তারা ভয় দেখিয়ে মানুষকে চাপা দিয়ে রেখেছে।
দুর্ভিক্ষ খাদ্যের অভাবে হয় না-গণতন্ত্রের অভাবে হয় উল্লেখ করে রুবেল বলেন, আমাদের দেশ নাকি সিঙ্গাপুর হয়ে যাচ্ছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন। এখন বিদ্যুৎ নাই। দুর্ভিক্ষ খাদ্যের অভাবে হয় না। এটা গণতন্ত্রের অভাবের কারণে হয়। লুটপাট ও পাচারের কারণে আজকাল বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাংলাদেশকে দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে হলে এই সিন্ডিকেটের সরকারকে ভাঙতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।