বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ: সমাবেশস্থলে হোগলপাটি বিছিয়ে ঘুমাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দুইদিন আগে বরিশালে আসা নেতাকর্মীরা মাঠেই রাত কাটানোর ব্যবস্থা করেছেন। সামিয়ানা টানিয়ে তার নিচে ঘাসের ওপর চাদর, কাপড়, হোগলপাটি ও প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে নেতাকর্মীরা ঘুমাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেতাকর্মীদের অনেককেই সেই বিছানায় শুয়েও পড়তে দেখা গেছে।
মাথার নিচে কেউ ব্যাগ, কেউ কাঁথা, কেউ খাবারের প্যাকেট আবার কেউ ডেকরেটর টেবিলের ওপরের অংশ বালিশ হিসেবে ব্যবহার করছেন।
আবার হালকা শীতল আবহাওয়ার মধ্যে চাদর ও কাঁথাও দিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন নেতাকর্মীরা।
ভোলার চরফ্যাশন থেকে সমাবেশস্থলে আসা আব্দুর রহিম সরদার বলেন, লঞ্চ চলতে দেবে না এই খবরে আজই চলে আসছি বরিশালে। আর এই রাতে কোথাও না গিয়ে সমাবেশমঞ্চের পাশেই সামিয়ানার নিচে বিছানা করেছি হোগলপাটি বিছিয়ে। আর বালিশ না থাকায় ডেকরেটর টেবিলের ওপরের অংশ দিয়েছি মাথার নিচে। সমাবেশ সফল করতে আমার মতো হাজারো নেতাকর্মী এ সমাবেশস্থলে রাত কাটাবেন।
পিরোজপুরের কাউখালী থেকে আসা কৃষকদল কর্মী মোনাব্বর হোসেন বলেন, সকালেই বরিশালে আসছি, দুইদিন থাকতে হবে তাই শুকনো খাবারের সঙ্গে লুঙ্গি-গেঞ্জি ও কাঁথা নিয়ে আসছি। দলীয় কর্মসূচির জন্য দুটি রাত এখানে কাটাতে কারও কষ্ট হবে না। এদিকে রাতে মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে কয়েলও বিতরণ করেছেন স্থানীয় নেতারা।
সমাবেশস্থলে মঞ্চের পাশেই চলছে রান্নার আয়োজন, আবার অনেকে প্যাকেটজাত খাবার কিনে খাচ্ছেন।
বরগুনা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা সোহরাব বলেন, রাতে কারও বাসায় কিংবা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা না করতে পেরে সমাবেশমঞ্চের পাশে প্যান্ডেলের নিচে ঘুমানো ব্যবস্থা করেছি। সেসঙ্গে পাশেই রাতের খাবারের জন্য খিচুরি রান্না বসানো হয়েছে।
ভোলা থেকে আসা মিলন বলেন, রান্নার ঝামেলা এড়াতে রাতে প্যাকেট বিরিয়ানি খেয়েছি তিন বন্ধু মিলে। তবে সকাল থেকে টিমের সবাই মিলে রান্না করে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই এ মাঠেই রান্না করে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করব।
এদিকে মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, জেলা উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা মাঠেই লাকড়ি ও গ্যাসের চুলা বসিয়ে রান্নার আয়োজন করছেন। তবে এ রাতে অনেকে প্রস্তুত করা খাবার প্যাকেটে এনেও খাচ্ছেন। অনেক জায়গায় প্যাকেট নিতে কর্মীদের দীর্ঘলাইনেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।