বরিশালে বিএনপি’র গণসমাবেশ: দু’দিন আগেই পৌঁছলেন কয়েক হাজার নেতাকর্মী
শনিবার বরিশালের বেলস পার্কে বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। এ উপলক্ষে নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগেই বরিশাল পৌঁছেছেন কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মী। পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি। সমাবেশস্থলসহ আশপাশের রাস্তাঘাট ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে ছেঁয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, পরিবহন বন্ধ করে কোনো লাভ হবে না। প্রয়োজনে নেতাকর্মীরা নৌপথে ট্রলারে করে আসবে। সড়কে আসবে বাইসাইকেল যোগে। এতেও সমস্যা হলে তারা হেঁটে আসবে। তবুও এবারের সমাবেশকে তারা সফল করবে।
বিএনপি নেতারা জানান, সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর মঙ্গলবার তারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করে মাঠ প্রস্তুতের কাজ শুরু করেন। বুধবার বিকেল থেকেই সমাবেশস্থলে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। নেতারা উপস্থিত থেকেই সব দেখভাল করছেন। পাশাপাশি সমাবেশস্থলেই দফায় দফায় করা হচ্ছে প্রস্তুতি সভা। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেলে ও হেঁটে নেতাকর্মীরা যাতায়াত করছেন।
ভোলার চরফ্যাশন থেকে আসা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সিকদার ইউসুফ আবির জানান, ‘আমরা জানতাম, আগেই বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সমাবেশের দু’দিন আগেই আমরা শত শত নেতাকর্মী বরিশাল চলে এসেছি। থাকার স্থান পাচ্ছি না। প্রয়োজনে সমাবেশের মাঠেই ঘুমাব। তবুও সমাবেশ সফল করব ইনশাআল্লাহ।’
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবি খান সোহেল বলেন, বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কোনোভাবেই আটকে রাখা যাবে না। এরই মধ্যে বরিশালে অবস্থান নিয়েছেন আমাদের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে হোটেলে হোটেলে অভিযান চালানো হচ্ছে। বাস বন্ধ করা হয়েছে। থ্রি-হুইলার বন্ধ করা হয়েছে। শুনেছি, সমাবেশের আগের দিন লঞ্চও বন্ধ থাকবে। দরকার হলে আমাদের নেতাকর্মীরা কলা গাছের ভেলায় চড়ে আসবে। যে করেই হোক, তারা সমাবেশ সফল করবেই। ’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান বলেন, ‘পরিবহন সেক্টরগুলোর নেতৃস্থানীয়রা সবাই সরকারি দলের পদধারী নেতা। তাদের উদ্দেশ্যই বিএনপিকে দমন করা। প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আমাদের পথ রুদ্ধ করতে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হচ্ছে। তবে এতে কোনো লাভ হবে না।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘শো ডাউন করে বরিশালে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপির জনসমর্থন দেখে তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে। যদি হোটেলে থাকতে দেয়া না হয়, প্রয়োজনে আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে থাকবে।’