ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পতন কি আসন্ন?
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কাওয়ারতেংকে শুক্রবার বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। সেপ্টেম্বরের শেষে লিজ ট্রাস ও কাওয়াসি কাওয়ারতেং মিলে মিনি বাজেট ঘোষণা করেন। তাদের লক্ষ্য ছিল কর্পোরেশন কর কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটানো। কিন্তু এই মিনি বাজেট ঘোষণার পর এর উল্টোটা হয়। এর প্রভাবে টালমাটাল হয়ে যায় যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।
এমন পরিস্থিতির জেরে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে অর্থমন্ত্রীকে। এরপর নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে জেরেমি হান্টের নাম ঘোষণা করা হয়।
তবে শুধু অর্থমন্ত্রীই না। দায়িত্ব ছাড়তে হতে পারে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকেও। কারণ অনেকেই বলছেন টালমাটাল অর্থনীতির জন্য অর্থমন্ত্রীর সমান দায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসও। তাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বিরূপ প্রভাব পরতে পারে- সে বিষয়ে লিজ ট্রাসকে আগেই হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।
গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টির সিনিয়র সদস্যরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার আহ্বান জানাবেন তারা। কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই অনেকে বলছেন অর্থমন্ত্রীর চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কম দায়ী না।
গণমাধ্যম বিবিসির নিউজ নাইটের নিকোলাস ওয়েট জানিয়েছেন, তার কাছে তথ্য এসেছে আগামী সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টির সিনিয়র সদস্যরা লিজ ট্রাসকে সরে যেতে বলবেন।
টুইটে নিকোলাস ওয়েট লিখেছেন, সিনিয়র সদস্যদের একটি দল বৈঠক করেছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন: কাওয়াসি কাওয়ারতেংকে বহিস্কার করার বিষয়টি তাদের জনসম্মুখে আসতে বাধ্য করবে এবং লিজ ট্রাসকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাতে হবে।
বিবিসির ওয়েট জানিয়েছেন, তার সূত্র তাকে জানিয়েছে, যেসব সিনিয়র সদস্যরা এ বৈঠক করছেন তারা খুবই শক্তিশালী। প্রধানমন্ত্রীর তার প্রধানমন্ত্রিত্ব ধরে রাখা খুবই কঠিন হয়ে যাবে।
ইসাবেল ওকেসট নামে টক টিভির একজন গণমাধ্যমকর্মী টুইটে লিখেছেন, আমি সত্যিই ভাবতে পারছি না লিজ ট্রাস কিভাবে এ থেকে বাঁচবেন। তিনি আসলে সকলকে রাগিয়ে দিতে খুব ভালোভাবে সফল হয়েছেন, আর পুরো দেশকে গরীব বানিয়ে দিয়েছেন। তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এজেন্ডা বাতিল করা মানে তিনি এখন প্রস্তাবিক কর্মপন্থার নকল নেতায় পরিণত হয়েছেন।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করার পর কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন লিজ ট্রাস। দুই মাস পার না হতেই এখন হুমকির মুখে পরেছে তার প্রধানমন্ত্রিত্ব।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি