আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন ৭১ এর নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে: মির্জা ফখরুল

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশের যে আত্মাকে রক্ষা করা হয়েছিল ৫১ বছর পরে সেই আত্মাকে আওয়ামী লীগ সরকার হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পরে আমাদের বলতে হচ্ছে, বর্তমান অবস্থার এ দেশ আমরা চাইনি। বর্তমান সরকারের নির্যাতন ৭১ এর নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে। দেশে বর্তমানে গুম খুন নির্যাতন আর ধরপাকড় চলছে যা পাকিস্তান আমলেও করা হয়নি। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা দেশের আত্মাকে রক্ষা করতে পেরেছিলাম। আর ৫১ বছর পরে সেই আত্মাকে আওয়ামী লীগ সরকার হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপিতে যত রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা আছেন আওয়ামী লীগে তত মুক্তিযোদ্ধা নেই। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় স্থাপন করেছেন। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়া ছিলেন পথিকৃৎ।

বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী এমন কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলতে পারেন তা আমাদের জানা নেই। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় সমস্যা কি তাদের না আমাদের। দেশ সব মানুষ এখন আসামি। যারাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছে তারাই এখন আসামি।

তিনি আরও বলেন, গুম নিয়ে সরকার অস্বীকার করছে। সরকার ও তার মন্ত্রীরা মিথ্যাচার করছে। জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেছেন, বাংলাদেশের মন্ত্রীরা যা বলেছে তা সত্য নয়। বাংলাদেশে গুমের ঘটনা সত্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। এছাড়া শান্তি রক্ষা মিশনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের  মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যুক্ত থাকলে তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, আইজিপির ভিসার শর্ত বাংলাদেশের জন্য অবমাননাকর। আইজিপির জাতিসংঘ যাওয়ার জন্য ব্ল্যাকমেইল করে ভিসা নেওয়া হয়েছে। আইজিপিকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তাই বলা যায়, দেশের গুম খুনের বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল। সরকারকে বলব আপনারা অস্বীকার না করে গুম হওয়া মানুষ গুলোকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সেদিন সৈনিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তোমরা মেজর জিয়ার নির্দেশ ছাড়া অস্ত্র সমর্পণ করবে না। তারপর তিনি ঢাকায় ফেরত এসে আটক হন। আর বঙ্গবন্ধু পরিবার তখন সরকারের ভাতা খেয়েছেন।