ময়মনসিংহে আ.লীগের হামলা ঠেকাতে মুক্তাগাছা বিএনপি’র লাঠি মিছিল
আ’লীগের হামলা ঠেকাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় বিএনপির লাঠি মিছিলের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আজাহার নামের এক যুবলীগ কর্মী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার (২৯ আগষ্ট) সকালে মুক্তাগাছা থানায় দন্ডবিধির ৩২৬ ধারা’সহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় আসামি হয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২৬১ জন নেতাকর্মী। এর মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান লেবুকে প্রধান আসামি করে এজাহারে ৬১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলার ২৭ নং আসামি মো: গোলাপ খানকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এর আগে গতকাল ২৮ আগষ্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গাবতলী ও কালীবাড়ী এলাকায় জ্বালানি, পরিবহন ও দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি এবং দুই নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ওয়ার্র্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ মিছিল করে ৭ নং ঘোগা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন।
এ সময় বিএনপির শত শত নেতাকর্মী হাতে বাঁশের লাঠি ও কাঠের ফালিতে ধানের শীষের ছড়া ঝুলিয়ে মিছিলে অংশ গ্রহন করে।
মামলার বাদি আজাহার এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি যুবলীগ নেতা মনি (উপজেলা যুবলীগ সভাপতি) ভাইয়ের সাথে রাজনীতি করি। আমার কোন পদ নাই, কর্মী হিসেবে আছি। গতকাল (২৮ আগষ্ট) বিএনপির লাঠি মিছিলের লোকজন আমিসহ বেশ কয়েকজনকে খুব মারপিট করেছে, তাই আমি মামলা করেছি।