সরকার গণতন্ত্র চায় না, সরকার জানে জনগণ তাদের সমর্থন করবে না: গয়েশ্বর
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গরেশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে যা বলে, করে তার উল্টোটা। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলেই ক্ষমতায় এসেছে। অথচ আজ ঠিক তার উল্টোটাই করছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে যেহেতু নির্বাচনে যাচ্ছি না। সেহেতু ইভিএম একটা আসনে দিবে, নাকি ১০টা আসনে- সেটা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না- এই সিদ্ধান্তে আমাদের অটল থাকতে হবে। আমাদের এক্টিভিটিস দ্বারা এখন থেকেই যেন জনগণ সেই বার্তা পায়। আমাদের সাহসী হতে হবে। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে। রাজপথে সক্রিয় থেকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। কারা রাতের অন্ধকারে টাকা নিচ্ছে, ফেভার নিচ্ছে- সেটা আমাদের জানা নেই। এই বিষয়টি প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, বিদেশী চাপে সরকার হয়তো বলছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর আমরা কোনো হামলা মামলা করবো না। কিন্তু গত ১৫ দিনের পত্রিকার দিকে খেয়াল করেন। গত কয়েকদিন আগে যশোরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তরিকুল ইসলামের বাসায় হামলা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
গরেশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একটা পজিটিভ দিক হলো বিএনপি এখন শুধু মার খায় না তারা মার দেয়। এটা বিএনপির জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ। জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার যুদ্ধে অনেক রক্ত যাবে, অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। জনগণের জন্য বিএনপিকে এই যুদ্ধে নামতেই হবে।
তিনি পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্য বলেন, পুলিশকে আক্রমণ করা ঠিক নয়। তারা কর্তব্য পালন করছে। যদি তারা বাড়াবাড়ি করে আর জনগণ মনে করে ইউনিফর্মকে সম্মান করবে না তাহলে কিছুই করার নেই।
গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সিক্রেট ডায়েরি ফাঁস করে দিয়েছেন। এই সিক্রেট ডায়েরির রাজসাক্ষী তিনি। যেহেতু জনগণের কাছে তিনি এটি প্রকাশ করছেন সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাতে পারি।’
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, সরকার অনুগত নির্বাচন কমিশন বসিয়েছে। এই আউয়াল কমিশন আমরা মানি না। বর্তমানে বিএনপি’র সাথে সকল দল একমত, তারা নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র চায় না। সরকার জানে জনগণ তাদের সমর্থন করবে না। তাই তো তারা ভারতের সাহায্য চায়। ভারতের কাছে ধরণা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।