সহিংসতা আর দুষ্কর্মের সংমিশ্রণে গঠিত আওয়ামী লীগ: রিজভী

0

অবিচারের শরাঘাতে গোটা জাতি এক অনুচ্চারিত যন্ত্রণায় ছটফট করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের কথা বিশ্বাস করা মানে ভয়াবহ প্রতারণার শিকার হওয়া। আওয়ামী রাজনীতির যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে তা প্রচলিত কোনো সজ্ঞা দিয়ে বর্ণনা করা যাবে না। এরা স্বার্থ-সর্বস্বতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না বলেই জনগণকে হরেক কিসিমের প্রতারণার মাধ্যমে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।

প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, একবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে সপ্তাহে একদিনের বেশি তাকে টেলিভিশনে দেখা যাবে না। কিন্তু আমরা কী দেখেছি- এখন প্রতিদিন সকল টেলিভিশনের আলো প্রক্ষেপিত হয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে। গুরুত্বপূর্ণ না হলেও পত্রিকার প্রথম পাতায় কয়েক কলাম জুড়ে থাকে প্রধানমন্ত্রী বা তার পরিবারের গুণগান। বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের সংবাদ প্রচারে বিধি-নিষেধের খড়গ ঝুলে থাকে।

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের ওপর হামলা হবে না’ এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কি দেখছি, বিএনপি’র প্রতিটি কর্মসূচির ওপর উপর্যপুরি হামলা হচ্ছে এবং রক্তাক্ত আক্রমণ চালিয়ে নিহতসহ আহত করা হচ্ছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। সম্প্রতি ভোলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করে নুরে আলম ও আব্দুর রহিমকে হত্যা এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় প্রমাণিত হয়- এ সরকার জাতির সাথে নিষ্ঠুর মশকরা ও প্রতারণা করছেন।

রিজভী বলেন, লগি-বৈঠার ধারাবাহিকতা, জিহ্বা ছিঁড়ে ফেলার হুমকি, টকশোতে চোখ তুলে নেয়ার হুমকি ইত্যাদি আওয়ামী সংস্কৃতির নমুনা। সহিংসতা আর দুষ্কর্মের সংমিশ্রণে গঠিত আওয়ামী লীগ। এদের কারণেই বর্তমান সময় সংকটময়। দেশে এখন সীমাহীন দারিদ্র্য, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অসাম্যের এক অন্ধকার মধ্যযুগীয় পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

গতকাল রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ক’দিন আগেও একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছেন-বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া হবে না। অথচ ২২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী বিএনপি’র কর্মসূচির ওপর চলছে নারকীয় আক্রমণ এবং মিথ্যা মামলা দায়েরসহ গ্রেফতারের হিড়িক। ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে যেখানেই বিএনপি’র বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানেই হামলা চালিয়ে রক্ত ঝরানো হচ্ছে। এরা গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে এক বর্বর হিংসাযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। তাই ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর বক্তব্য রুচিহীন, নির্লজ্জ মিথ্যাচার এবং দায়িত্বজ্ঞানবর্জিত। এরা পেশীশক্তি ও জিহ্বার ধার দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সরকারের ক্ষমতালোভ, জনগণের প্রতি অমানবিক অবজ্ঞা গোটা জাতিকে এক করুণ দুর্দশার মধ্যে ফেলেছে। অবিচারের শরাঘাতে গোটা জাতি এক অনুচ্চারিত যন্ত্রণায় ছটফট করছে। রাগ, ঘৃণা ও প্রতিবাদে আগ্নেয়গিরী হয়ে আছে দেশবাসী। সরকারি সকল জুলুম, নিপীড়ন উপেক্ষা করেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামছে রাজপথে। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী শক্তি অনঢ়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com