জনগণ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না: শাহজাহান
জনগণ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে, বেড়েছে বাস ভাড়াও। দেশে চরম অথনৈতিক সংকট বিরাজ করছে। সরকার দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। অতি দ্রুত যদি এই সরকারকে বিদায় করতে না পারি, তাহলে ৭৪ সালের চেয়েও ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ বিরাজ করবে। দুর্ভিক্ষ আসার আগেই এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকালে নগরীর চকবাজার মতি টাওয়ারের সামনে চক বাজার থানা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় গুলিতে নূরে আলম ও আবদুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়।
এসময় মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, শুরু হওয়া এই আন্দোলন, শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে। আমরা চাই, সরকার পতনের আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হোক। জিয়াউর রহমান এই চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার ডাকে তখন চট্টগ্রাম থেকেই এরশাদ সরকারের পতনের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এবারও চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, অনেক হয়েছে, আর নয়। এবার নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙ্গে সমাধান করুন। না হয় জনতার রোষের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ে মানুষ বিপর্যস্ত, কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংকট, সার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকের মাথায় হাত। সর্বগ্রাসী সংকটে দেশ বিপর্যস্ত। সরকারের মসনদ কেঁপে উঠছে। জনগণ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা তালগোল পাকিয়ে ক্রমাগত মিথ্যাচার করছে। সত্য আড়াল করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী সরকারের ব্যর্থতা ও ভুল সিদ্ধান্তে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষের আয় সংকুচিত হয়ে গেছে। প্রতিটি পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার সুদূরপরাহত। গুম, খুনসহ মানবাধিকারের লঙ্ঘন করে পুরো রাষ্ট্রকেই যেন আয়নাঘরে বন্দী রাখা হয়েছে।