মৌলভীবাজারে ৮ দিনে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত ৭৩০
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এখনো পানিতে নিমজ্জিত। হাসপাতাল প্লাবিত হওয়ায় রোগাক্রান্ত মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে। বন্যাপরবর্তী সংক্রমণে তারা সেখানে পৌঁছাতে পারছে না।
তেমনই একজন জোছনা বেগম। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর মিলনস্থলে। বন্যার পানি ঘরে ঢুকে সবকিছু ডুবে গেছে তার। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় তিনি রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। আক্রান্ত হচ্ছেন নানা সমস্যায়। চারদিকে এখনো পানি জমে থাকায় তিনি চিকিৎসা নিতে যেতে পারছেন না।
শুধু জোছনা বেগম নন, জেলার কাওয়াদিঘির পাড় ও হাকালুকি হাওরসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক শ মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত আট দিনে পানিবাহিত রোগে ৭৩০ জন আক্রান্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার পানির কারণে ডায়রিয়ায় ৪৯ জন, চর্মরোগে ৫০ জন, জ্বরে ১৪ জন, চোখের ভাইরাসে ১২ জন, চোখে আঘাতপ্রাপ্ত ৬ জন, সাপে কাটা ৪ জন, অন্য রোগে ৩৭ জনসহ ১৭২ জন শিশু, নারী ও পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দীন মোর্শেদ বলেন, বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় ৭৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত জেলায় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ৭৩০ জন আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক বলেন, বন্যায় জেলার ৭টি উপজেলা ও ৪১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬০ হাজার ১১ পরিবারের ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ সদস্য ক্ষতির মুখে পড়েছে। ১৩ হাজার ২৬০টি ঘরবাড়ি ও ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে।