গর্ভপাত আইন বাতিলের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ

0
গর্ভপাতের অধিকার দেওয়া প্রায় পাঁচ দশকের একটি পুরোনো আইন বাতিল করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। আইনটি বাতিলের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গর্ভপাতের অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। গত শুক্রবার রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ সুপ্রিম কোর্ট ৬-৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এ রায় দেন।
জাতীয় আইনটি বাতিল করে আদেশে বলা হয়, এখন অঙ্গরাজ্যগুলো নিজেদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গর্ভপাতের অনুমতি প্রদান অথবা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইন করতে পারে। এর পরপরই রক্ষণশীল কয়েকটি অঙ্গরাজ্য দ্রুত আইনটি কার্যকরের উদ্যোগ নেয়।
কয়েক হাজার মানুষ শনিবার ওয়াশিংটনের সুপ্রিম কোর্টের বাইরে গরম আবহাওয়ার মধ্যেও রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। তারা ‘নারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, পরবর্তী কে?’ এবং ‘জরায়ু নেই, মতামত নেই’ প্রভৃতি লেখা ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী বিভিন্ন শহরেও প্রতিবাদকারীরা সমবেত হন। লস অ্যাঞ্জেলেসেও বিক্ষোভ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর অন্তত আটটি অঙ্গরাজ্য গর্ভপাতের ওপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আগামী সপ্তাহে আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে এ নিয়ে মামলা শুরু হতে পারে।
অবশ্য এ আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কয়েকটি দেশ সমালোচনা করেছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ সুপ্রিম কোর্ট এখন সমলিঙ্গের বিয়ে এবং গর্ভনিরোধের মতো অধিকারগুলোর দিকেও দৃষ্টি দিতে পারেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শনিবার এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি অনেক আমেরিকানের জন্য সিদ্ধান্তটি কতটা বেদনাদায়ক এবং ধ্বংসাত্মক।’ বাইডেন কংগ্রেসকে ফেডারেল আইন হিসেবে গর্ভপাত সুরক্ষা পুনরুদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আগামী নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় প্রসঙ্গটি রাখবেন।
নারীদের গর্ভপাতের আইনি অধিকার বাতিলে আদালতের সিদ্ধান্তের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসন গর্ভপাতের ওষুধের সহজলভ্যতার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে রক্ষণশীল দল গর্ভপাত ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে পারে।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com