আবদুর রহমান থেকে শাহরুখ, বলিউডে আজ তার ৩০ বছর

0

ছোটবেলায় শাহরুখের নাম ঠিক করা হয়েছিল আবদুর রহমান। ওই নাম রেখেছিলেন শাহরুখের নানি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোথাও নথিভুক্ত করা হয়নি ওই নাম। নায়কের বাবা মীর তাজ মোহম্মদ তার সন্তানের নাম ‘শাহরুখ’ রাখবে বলেই ঠিক করেছিলেন এবং সেটাই রাখেন।

‘শাহরুখ’ নামের অর্থ যে রাজপুত্রের মতো মুখ। নানির রাখা নাম   প্রসঙ্গে মজা করে শাহরুখ বলেছিলেন  তিনি ভীষণ খুশি নানির দেওয়া নামটি যে তার ওপর বসেনি।

বলিউড নায়কের মজার যুক্তি, ‘বাজিগর’ সিনেমায় নায়কের নাম হিসেবে আবদুর রহমান হিসেবে সেটা মোটেই জুতসই বা শ্রুতিমধুর হতো না।

আজ অভিনেতার বলিউডে পা রাখার ৩০ বছর পূর্ণ হলো। দিনটা  ২৫ জুন। আজ থেকে তিন দশক আগে বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল তার প্রথম ছবি ‘দিওয়ানা’। ১৯৯২ সালে রাজ কুমার পরিচালিত সেই ছবিটিতে ধনী গায়ক ‘রবি’র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ। ত্রিশ বছরের এই জার্নিতে সাফল্যের অ্যাভারেস্ট ছুয়েছেন তিনি।  মানুষের কাছে হয়েছেন আইকনিক স্টার।

ত্রিশ বছর পূর্তির দিনে ভক্তদের জন্য চমকানো উপহার দিয়েছেন এই বলিউড বাদশাহ।। প্রকাশ করেছেন তার বহুল প্রতিক্ষিত ছবি ‘পাঠান’ সিনেমার পোস্টার। অন্তর্জালে এরই মধ্যে সাড়া পড়েছে শাহরুখের চমকানো লুকে; এই সিনেমার মাধ্যমে কিং খান বড় পর্দায় ফিরছেন ১৪৯৬ দিন পর।

২০১৮ সালে ‘জিরো’ সিনেমা বক্স অফিসে চমক ব্যর্থ হলে স্বরূপে ফিরতে চার বছরের বিরতি নিচ্ছেন বলিউড বাদশাহ। বিরতি ভেঙে ২০২৩ সালে ফিরছেন শাহরুখ। শুধু ফিরছেন বললে ভুল হবে, আগামী বছর হতে যাচ্ছে কিং খানময়। বছরের শুরু জানুয়ারিতে মুক্তি পাবে শাহরুখের ‘পাঠান’, আর বছর শেষে ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে তাঁর ‘ডানকি’। সালের মাঝামাঝিটাও দখলে নিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাকশনধর্মী ‘জওয়ান’ সিনেমার।

শাহরুখ খানের প্রধান চরিত্রে প্রথম কাজ ছিল লেখ ট্যান্ডনের টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘দিল দরিয়া’। ১৯৮৮ সালে ধারাবাহিকটির শুটিং শুরু হয়, কিন্তু নির্মাণ-বিলম্বের কারণে ১৯৮৮ সালে রাজকুমার কাপুর পরিচালিত ‘ফৌজি’ টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনেতা হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন। বলিউডে তাঁর অভিষেক হয় ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে। প্রথম সিনেমাতেই অর্জন করেন সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

কর্মজীবনের শুরুর দিকে খল চরিত্রে ‘ডর’, ‘বাজিগর’ ও ‘আনজাম’ সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর তিনি বাণিজ্যিকভাবে অসংখ্য সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ (১৯৯৫), ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ (১৯৯৭), ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ (১৯৯৮), ‘মোহাব্বতেন’ (২০০০) ও ‘কাভি খুশি কাভি গম’ (২০০১)।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শাহরুখ খান ৩০টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন থেকে ১৪টি পুরস্কার এবং একটি বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি কোনও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন না করলেও ২০০৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com