রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও মর্যাদায় মিয়ানমারের রাখাইনে তাদের পূর্বপুরুষের ভূমিতে দ্রুত প্রত্যাবাসনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রীদের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে এ সমর্থন কামনা করেন।
আজ শুক্রবার (২৪ জুন) পররাষ্ট্র মন্তণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে ড. মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট ষষ্ঠতম বছরে পদার্পণ করেছে, যা আমাদের অঞ্চলের মানব-নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদায় রাখাইনে তাদের পূর্বপুরুষের মাতৃভূমিতে দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বাংলাদেশ বাধ্যতামূলকভাবে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’
ড. মোমেন কমনওয়েলথের দেশগুলোকে মিয়ানমার সরকারকে ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’ মেনে চলার জন্য চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান। এবং রাখাইন রাজ্যে তাদের নাগরিকদের নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করারও আহ্বান জানান।
বৈঠকে গণতন্ত্র, শান্তি ও শাসন, টেকসই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং কোভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অনেক চাপযুক্ত বৈশ্বিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও শিশুর যত্ন ও সুরক্ষা সংস্কারের বিষয়ে কমনওয়েলথ ঘোষণাপত্রের প্রধানদের অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত করেছেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল।