ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এখন কোনো শিক্ষক যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ভোটার নিয়োগ দেওয়া হয়। আমাদের সময়ে কোনো দল বিবেচনা করা হয়নি। আমরা যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়েছি। সেজন্য আমাদের সময়ে দলমত নির্বিশেষে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর আগের মতো নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল জ্ঞানের আঁতুড়ঘর। শত বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের আলো প্রজ্জ্বলিত করে রেখেছিল। সেটি এখন সন্ত্রাসের জায়গা হয়েছে। এখানে সন্ত্রাস লালন-পালন হয়। এখানে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে ভোটের জন্য।
তিনি বলেন, আমি একথা বলতে পারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। যেটা আমাদের সময়ে হয়েছে। আমাদের সময়ে কোনো দল বিবেচনা হয়নি। আমরা যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়েছি।
বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদের শাসন কায়েম করেছে উল্লেখ করে আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক যে সমস্যা তৈরি করেছিল আইয়ুব খান আর ইয়াহিয়া খান, আমরা মনে করেছি স্বাধীনতার পর তা আর ফিরে আসবে না। আমরা ভেবেছিলাম গণতন্ত্রের মাধ্যমে একটি সরকার গঠন হবে। কিন্তু আমরা দেখি তার উল্টো চিত্র। পাকিস্তান থেকেও ভয়াবহ একটি সরকার এখানে কায়েম হয়েছে। এই সরকার স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী। এরা এদেশের মানুষকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছিলাম, কিন্তু আমরা আবার শিকলে বন্দি হয়েছি। এই জাতির মুক্তির জন্য আবার একটি যুদ্ধ প্রয়োজন। এই জাতির অধিকার আদায়ে নতুন করে আবার যুদ্ধ করতে হবে।
ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য বলেন, আপনারা বলেন ওই মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। মন্ত্রীদের পদত্যাগ চেয়ে লাভ কী! ওরা তো দেখেন তাদের মনিব কী বলেন। তিনি যা বলেন তাই হয়। তার কথা ছাড়াতো এই দেশে এখন কিছুই হয় না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা প্রকাশের সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।