সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে: রিজভী
সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আপনাদের দিন শেষের ঘণ্টা জনগণ বাজাচ্ছে। কিন্তু সেই ঘণ্টার আওয়াজ আপনাদের কানে যাচ্ছে না। বিরোধীদলের রক্ত শোষণ করে, রক্তপাত ঘটিয়ে সাধের ময়ূর সিংহাসনে আর টিকে থাকতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাসাসের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আজও যখন আমরা স্বৈরাচারের আবদ্ধ জালের মধ্যে কথা বলতে পারি না, চলাচল করতে পারি না। চারদিকে গুন্ডাদের হুংকার। আজও আসার সময় রাস্তার মোড়ে মোড়ে মোড়ে ছাত্রলীগ যুবলীগ এর গুন্ডারা লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক অকৃত্রিম অভয় বাণী শুনিয়েছেন কাজী নজরুল ইসলাম। যা আজও বুকে ধারণ করে এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্বুদ্ধ করে।
তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একটি কথা বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব বিভিন্ন দলের সাথে আলাপ আলোচনা করছে। এর মধ্যে তিনি ষড়যন্ত্র খুঁজে পেয়েছেন।’’ আমার মনে হল আপনি ষড়যন্ত্র খুঁজে পেয়েছেন সমালোচনা করেছেন এরপর কি করবেন? আপনি কি সশস্ত্র ছাত্রলীগ পাঠাবেন নাকি?
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বলেন, আপনাদের স্বাদের এই ক্ষমতা আর বেশিদিন থাকবে না। নিজ দেশের বিরোধীদলের রক্ত শোষণ করে রক্তপাত ঘটিয়ে ময়ূর সিংহাসনে আর টিকে থাকতে পারবেন না। আপনাদের দিন শেষের ঘণ্টা বেজে গেছে।
তিনি বলেন, অত্যাচারী, নিপীড়কারীরা কথা বলতে দেয় না। সভা-সমাবেশ করতে বাধা দেয়। রক্তপাত ঘটায়, তাদের রাজত্ব এই দেশে বেশি দিন হবে না। আপনাদের সেই পতন হতে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। বেশি উচ্চবাচ্য করে লাভ নাই। আপনারা হয়তো দেখতে পাবেন না। কারণ জনগণ যে ঘেরাও দেয় সেই ঘেরাওটা আগের থেকে দেখা যায় না। শ্রীলঙ্কায় কিন্তু আগে দেখা যায় নাই। মানুষ কিভাবে রাস্তায় নেমে এসে মন্ত্রীর গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। এটার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি লাগেনা। মানুষ ক্ষত বিখ্যাত, নির্যাতিত হতে হতে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এই দানবীয়দের বিরুদ্ধে তারা তখন প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্র নায়ক উজ্জল ও জাসাসের নেতারা।