বৃটেনের আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার ছিল ‘বিপর্যয়কর’, গোয়েন্দা ও কূটনীতিতে ছিল ব্যর্থতা

0

আফগানিস্তান থেকে বৃটিশ সেনা প্রত্যাহার ছিল ‘বিপর্যয়কর’ এবং বৃটেনের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। বৃটিশ আইনপ্রনেতাদের এক তদন্তে এমন সত্য উঠে এসেছে। দেশটির ফরেন এফেয়ার্স কমিটির ওই তদন্তে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে গোয়েন্দা, কূটনীতিক, পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি গ্রহণসহ সব দিকে ব্যর্থ হয়েছে বৃটেন। এছাড়া ওই পরিস্থিতিতে বৃটিশ সরকারের নানা দিকেরও সমালোচনা করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এ খবর দিয়েছে সিজিটিএন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, তালেবানের কাবুল দখল সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বৃটেন। দেশটির সরকার সেখান থেকে বৃটিশদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় কোনো প্রস্তুতিই নিতে পারেনি। আফগান সহযোগীদের কীভাবে বাঁচানো হবে তা নিয়েও ছিল না কোনো পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্র যখন জানিয়েছিল যে তারা আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি বেড়িয়ে আসতে চায়, তখনও ঠিকভাবে সাড়া দিতে পারেনি বৃটেন। রিপোর্টে বৃটিশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধানের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব আফগান নাগরিক বৃটিশদের জন্য কাজ করেছে, তাদের রক্ষার সময় এলে বৃটিশ সরকার ‘ঘুমাচ্ছিল’।

২০২১ সালের আগস্ট মাসে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্র।

এরমধ্য দিয়ে দেশটিতে পশ্চিমা বাহিনীর ২০ বছরের যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু বিদেশী সেনা প্রত্যাহার তালেবানকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের সুযোগ করে দেয়। বৃটিশ সরকার যেভাবে আফগানিস্তান থেকে চলে আসে তা নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়। যেসব আফগান বৃটিশদের সাহায্য করেছিল তাদেরকে তালেবানের হাতে ছেড়ে দিয়ে আসে দেশটি।

ওই তদন্ত দলে পার্লামেন্টের সকল দলের এমপিরা ছিলেন। রিপোর্টে বৃটিশ গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া সমালোচনা করা হয়েছে বৃটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরেরও। বলা হয়, যখন কাবুলের পতন হচ্ছিল তখন বৃটেনের সিনিয়র নেতারা ছুটি কাটাচ্ছিলেন। একে পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া এবং নেতৃত্বের অভাব বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে রিপোর্টে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com