মাহিন্দার বিচার দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভকারীরা
শ্রীলংকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এ দাবিতে বিক্ষোভকারীরা নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারি বাসভবনের বাইরে অবস্থান নিয়েছে। এদিকে শনিবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন শুরু করেছেন রনিল। এদিন চার মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন।
শনিবার ১২ ঘণ্টার জন্য দেশব্যাপী কারফিউ তুলে নেওয়া হয়। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন মন্ত্রীরা রাজাপাকসের দল শ্রীলংকা পোদুজানা পেরামুনা থেকে নিয়োগ করেছেন। অন্যদিকে রনিল বিক্রমাসিংহে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতা।
শনিবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এদিন পররাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র, নগর উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল রনিলকে সমর্থন দিতে অস্বীকার করেছে। তবে বেশ কয়েকটি ছোট দল বলেছে- তারা অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করবে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারি, অপ্রয়োজনীয় ব্যয়বহুল প্রকল্প, ক্রমবর্ধমান তেলের দাম এবং সরকারের কর কমানোর ফলে ৭০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে শ্রীলংকা। ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে। ব্যাপক মুদ্রাস্ম্ফীতি এবং জ্বালানির ঘাটতিতে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।
এর আগে, সোমবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেন। সে দিনের সহিংসতায় নয়জন নিহত এবং প্রায় ৩০০ জন আহত হন। এর পর পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বৃহস্পতিবার মাহিন্দার স্থলাভিষিক্ত হন। তবে তাকেও মেনে নিচ্ছে না বিক্ষোভকারীরা। তারা বলছে, রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ রনিল।