স্ত্রীর বান্ধবী ফারাহ খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে তদন্ত হচ্ছে তা রাজনৈতিক প্রতিশোধ: ইমরান

0

স্ত্রীর বান্ধবী বলে কথা। তাই নিজে যখন রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় আঘাত পেয়েছেন, তাকে গ্রেপ্তারের প্রত্যয় ঘোষণা করেছে সরকার, তখনও সেই স্ত্রীর বান্ধবীকে বাঁচানোর পক্ষেই কথা বলেছেন কাপ্টান ইমরান খান। তিনি স্ত্রী বুশরা বিবির বান্ধবী বহুল আলোচিত, সমালোচিত ফারাহ খানকে নির্ভেজাল নির্দোষ দাবি করেছেন। বলেছেন, ফারাহ খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে তদন্ত হচ্ছে তা ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবে। বৈধ আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, অর্থপাচার এবং বিভিন্ন ব্যবসায় নিজের অনেক একাউন্ট রাখার বিষয়ে ফারাহ খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ন্যাশনাল একাউন্টেবলিটি ব্যুরো (এনএবি)। ঠিক এর কয়েকদিন পরেই ইমরান খান ওই মন্তব্য করলেন। ফারাহ খান তার স্ত্রীর বান্ধবী। তাই বলে তার অন্যায়ের দায়ভার কেন ইমরান খানকে কাঁধে টেনে নিতে হবে! তবে কি ডাল মে কুচ কালা হ্যায়!

অনলাইন ডন জানিয়েছে এনএবি এক বিবৃতিতে বলেছে, গত তিন বছরে ফারাহ খানের একাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ- যা কিনা ৮৪ কোটি ৭০ লাখ রুপি পাওয়া গেছে। ফারাহ খানের দেয়া বিবৃতির সঙ্গে  এর কোনো মিল নেই।

এর জবাবে ইমরান খান বলেন- আমি এনএবি’কে প্রশ্ন করতে চাই: আপনারা ফারাহ খানের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন তা সবার সামনে প্রকাশ করুন

এই মামলার কি কোনো মেরিট আছে? ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে তিনি ক্ষমতাসীন বর্তমান জোটের ঘুষের মামলার শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন।

ইমরান খান বলেন, প্রথমে এনএবি বলেছে, ফারাহ খানের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ আছে। এই  অভিযোগ শুধু সরকারি পদের অধিকারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ফারাহ খান কি কখনো পার্লামেন্ট সদস্য অথবা সরকারি পদের অধিকারী ছিলেন? গত ২০ বছর ধরে তিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এনএবি বলেছে, গত তিন বছরে ফারাহ খানের সম্পদ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, যাচাই করে দেখুন কতগুলো রিয়েল এস্টেট জনগণের জন্য অর্থ বানিয়েছে। রিয়েল এস্টেটের যেকাউকে প্রশ্ন করুন তারা কি পরিমাণ অর্থ বানিয়েছে। তবে এই ব্যবসা করে অর্থ বানানো কোনো অপরাধ নয়। এটা কি সেই একই রকম মামলা নয়- যেখানে জেমিমার (ইমরান খানের সাবেক প্রথম স্ত্রী) বিরুদ্ধে টাইলস পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। জেমিমার একমাত্র অন্যায় ছিল, তিনি আমার স্ত্রী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল তিনি আমার সঙ্গে কানেক্টেড ছিলেন, শুধু এ জন্য। তবে ফারাহ খান একেবারেই নির্দোষ। তিনি যেন আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান, আমি সেই দাবি করছি। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু শুনানি হওয়া উচিত।

পরে এনএবি লাহোর শাখা একটি বিবৃতি দেয়। তাতে ফারাহ খানের মামলার বিষয়ে তাদের বিচারিক ক্ষমতা আছে কিনা তা নিয়ে ইমরান খানের প্রশ্নের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। এনএবি বলেছে , সরকারি পদে থাকা যেকেউ বা তাদের পরিবারের যেকোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্ত করতে পারে তারা। এতে আরও বলা হয়, ফারাহ খানের স্বামী আহসান জামিন গুজ্জার ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত গুজরানওয়ালা ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের আর্থিক অনিয়মের বিষয় এনএবির পর্যালোচনার অধীনে পড়ে।

এতে আরও বলা হয়, ফারাহ খানের বিরুদ্ধে এনএবি প্রধান কার্যালয় থেকে মামলা পাঠানো হয়েছে লাহোর শাখায়। এই মামলা করা হয়েছে ২০১০ সালের অর্থপাচার বিরোধী আইন এবং ১৯৯৯ সালের ন্যাশনাল একাউন্টেবলিটি অর্ডিন্যান্সের অধীনে। এতে আরও দাবি করা হয়, এনএবি পুরোপুরি স্বাধীন, মুক্ত, আইনি এবং সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠান। তারা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে পারে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com