রাত পোহালে ঈদ, মিলছে না সয়াবিন তেল
বাজার থেকে হঠাৎ উধাও সয়াবিন তেল। মিলছে না প্রয়োজনমতো। রাত পোহালে ঈদ, এমতাবস্থায় সয়াবিন তেল না মেলায় বিপাকে ক্রেতারা।
দু’একটি দোকানে মিললেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। আর তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা লিটার। শুধু রাজধানীই নয়; মফস্বলের বাজারগুলোতেও রাতারাতি উধাও সয়াবিন তেল। ঈদের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ তেল বাজারে না পেয়ে অনেকেই হন্যে হয়ে খুঁজছেন।
খুচরা দোকানিরা বলছেন, পাইকারী বা আড়তদাররা বলছেন, তাদের কাছে সয়াবিন তেল নেই। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানিগুলো থেকে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাই এই সংকট।
যদিও ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা দাবি করছেন, তারা আগের মতই সরবরাহ করছেন। মাঝপথে কোথাও ‘গরবড়’ হচ্ছে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানের চিত্রও প্রায়ই একই রকম। প্রায় জায়গাতেই গত দু’দিনে তেল মিলছে না।
চট্টগ্রামের এক দোকানি জানান, ১৫ দিন ধরে কোনো কোম্পানির ডিলারের প্রতিনিধি আসেনি। যোগাযোগ করলে তাদের বলা হচ্ছে, ঈদের পরে দাম বাড়ানো হবে বলে কোম্পানি যেমন তেল ছাড়ছে না, তেমনি কোথাও কোথাও মুজদ করা হচ্ছে।
তেলের এই সংকটে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তারের রোববার বেলা ১১টার পর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে অভিযান চালানো হয়। মার্কেটের তিনতলায় ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের এক গুদাম খুলতেই বেরিয়ে আসে কার্টনভরা সয়াবিন তেল। সেই তেল নিচতলার মুদিদোকানিদের কাছে বিক্রি করা হয়। আর সয়াবিন তেল মজুত করায় তিন ব্যবসায়ীকে ২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোর নামের তেলের এক ডিলারের গুদামে ৫ লিটারের ১০০ কার্টন বা ৪০০ বোতল (মোট ২ হাজার লিটার) সয়াবিন তেল পান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।