শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা করার দাবি
বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ন্যূনতম মজুীর ২০ হাজার টাকা করা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু হলে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।
রোববার (১ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।
এছাড়া আহতদের চিকিৎসা, ক্ষতিপুরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পাটকল, চিনিকলসহ বন্ধ সব কলকারখানা চালু করতে হবে। ঠিকাদার ও আউট সোর্সিং ব্যবস্থা বাতিল করে স্থায়ী পদে অস্থায়ী নিয়ে বন্ধ করতে হবে। আই এল ও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাসহ ৯ দফা দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ ধারাবাহিক।
সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা বলেন, এখনও শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। দেশে বিদেশে পুঁজির স্বার্থে গৃহীত কর্মসূচি যথা বিশ্বায়ন, মুক্তবাজার, অর্থনীতি, শোভন কাজ, শোভন কর্মপরিবেশ সবই আজ প্রশ্নবিদ্ধ।
বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সমন্বিত হওয়ার বদলে পুঁজিতে সমৃদ্ধ বৃহৎশক্তির দেশগুলোর ভেতরে বিরোধ ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে। কিন্তু যত বিরোধ থাকুক শ্রমজীবীদের মজুরির ব্যাপারে তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ। তাই করোনা মহামারিতে শ্রমজীবীদের জীবন দুর্বিষহ হলেও বৃহৎ পুঁজিপতিদের মুনাফা বেড়েই চলেছে।
তারা বলেন, করোনাকালে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য কিছু প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু শ্রমিক সংগঠন সমূহকে যুক্ত না করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের কর্মসূচির ফলে এসব প্রণোদনা শ্রমজীবীদের কাজে আসেনি। মজুুরি কমছে, কর্মসময় বাড়ছে, আধুনিকায়নের নামে বেকারত্ব বাড়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য শ্রমিক শ্রেণিকে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়ে নিজের অধিকার সংরক্ষণ ও নতুন ভবিষ্যতের জন্য লাগাতার সংগ্রাম অগ্রসর করে নেওয়ার মধ্যদিয়ে অধিকার অর্জনের সংগ্রাম শক্তিশালী করা আজ সময়ের দাবি।