ক্ষুধা-দরিদ্রতায় ঝুঁকছে শ্রীলঙ্কা, সহসাই কাটছে না সংকট
ক্ষুধা ও দরিদ্রতার সম্মুখীন হচ্ছে দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দুই কোটি ২২ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এরই মধ্যে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে খাদ্য সংকটও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। শ্রীলঙ্কার একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ সতর্ক করে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর গার্ডিয়ানের।
চলমান সংকটের মধ্যেই সংসদে অনুষ্ঠিত এক বিতর্কে দেশটির স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেইওয়ার্ধনা বলেন, সংকট কেবল শুরু। তবে এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
আবেইওয়ার্ধনা বলেন, খাদ্য, গ্যাস ও বিদ্যুতের ঘাটতি নজিরবিহীনভাবে বাড়বে। ফলে ক্ষুধা ও দরিদ্রতাও বাড়বে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এদিকে বুধবার শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় নেমে আসে। কারণ এসময় শ্রীলঙ্কার রুপি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ-কার্যকরী মুদ্রায় পরিণত হয়। শেয়ারবাজারের পাশাপাশি পতন হয় বন্ডেরও।
গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন দিক থেকে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। এর পিছনে অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয় করোনা মহামারি। এটিই দেশটির অর্থনীতিতে ধস নামিয়েছে। এরপরই রয়েছে বিদেশি ঋণ, মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের আমলেই মূলত এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ডলার সংকটে আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরই সংকট ঘনীভূত হয়। খাদ্য, গ্যাস ও ওষুধের সংকট দেশটিকে চরমভাবে ভোগাচ্ছে। দিনে প্রায় ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে।