পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ পেছালো
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণের তারিখ পিছিয়েছে। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) এ বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হলেও কোনো সিদ্ধান্ত দেননি দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার (৬ এপ্রিল) পর্যন্ত আদালত মুলতবী করা হয়েছে।
এদিন পাকিস্তান প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালত শুধু পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করবে। রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক নীতির বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে অনাস্থা ভোট বাতিলের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল, বিচারপতি মুনীব আখতার, বিচারপতি আইজাজুল আহসান, বিচারপতি মাজহার আলম ও বিচারপতি জামাল খান মন্দোখেল।
শুনানিতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ স্পিকারের কাউন্সেল নাঈম বোখারিকে গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত অধিবেশনের কার্যবিবরণী উপস্থানের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
শুনানির শুরুতে বিরোধী দল পিপিপির সিনেটর রাজা রাব্বানী তার যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এটি একটি বেসামরিক অভ্যুত্থান। বিভ্রান্তিকর অভিযোগের মাধ্যমে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গত ২৮ মার্চ উত্থাপন করা হয়েছিল, কিন্তু এরপর জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করা হয় বলেও উল্লেখ করেন রাব্বানী।
পিপিপি সিনেটর অভিযোগ করেন, পার্লামেন্টে উপযুক্ত নথিপত্র জমা না দিয়েই অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল করেছেন কাসিম সুরি। তিনি বলেন, ডেপুটি স্পিকারের রুলিং অবৈধ। ভোট না হলে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা যায় না।
গত রোববার ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে সেটি খারিজ করে দেন স্পিকার। এরপর প্রেসিডেন্টের কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তার প্রস্তাবে পার্লামেন্টে ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি।
সূত্র: ডন