‘জাতীয় সরকার’ দাবি সরকারের কূটচাল কিনা, সন্দেহ গয়েশ্বরের
গয়েশ্বর বলেন, আমাদের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি থাকতে পারে, চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে। অনেকসময় অনেক কিছু কথা আসছে৷ আমরা চাচ্ছি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আর সেই লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন করছি৷ আবার যারা একটু ধৈর্য্যহারা হয়ে গেছে তারা আবার চাচ্ছে কি? জাতীয় সরকার৷ এখন জাতীয় সরকারটা কি? তার কি রুপরেখা তার কি তাৎপর্য? এখন এই জাতীয় সরকার রুপরেখা কারা করতেছে, এটা আবার সরকারের কূটচাল কিনা,কোন ভিত্তিতে এটাকে মুল আন্দোলনকে আড়াল করার জন্য সরকারের কোনো কিছু কিনা তা নিয়ে ধারণা আমাদের নাই৷
এর আগে একই অনুষ্ঠানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর যারা গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে থাকবে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
দলীয় কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের করণীয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলনটি আমাদের চলছে আমাদের ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের নেতৃত্বে, এটা যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্য অর্জন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নানা কর্মসূচি থাকবে। সুতরাং দল কর্তৃক আমাদের যেসমস্ত কর্মসূচি দেয়া হয় সেগুলো সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন এবং আন্তরিকতার সাথে পালন করবেন।
‘দল খুব সুচিন্তার মধ্য দিয়েই কর্মসূচি দিচ্ছেন এবং তার ধারাবাহিকতার মাধ্যমেই কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি ফ্যাসিবাদের পতনের দিকে। সেজন্যই বলছি যে দল থেকে যে কর্মসূচি দেয়া হয় তা আপনারা যথাযথভাবে পালন করবেন। যেন এই সরকার উপলব্ধি করতে পারে যে তাদের সময় শেষ৷ শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান করলাম, সেখানেই আমাদের সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। একের পর এক কর্মসূচি আমাদের আসতেই থাকবে৷’
তিনি বলেন, আমাদের বৃহত্তর একটি জাতীয় ঐক্য। এটা জনগণের প্রত্যাশা৷ যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কিংবা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন হয়, সবাই আশা করে একটা জাতীয় ঐক্য৷ জাতীয় ঐক্য জনগণের আস্থা অর্জন করে৷ এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য কার কতটুকু শক্তি আছে, সেটা বিবেচনার বিষয় না৷ বরঞ্চ সরকারের বাইরে যে কয়টি রাজনৈতিক দল আছে, তাদের একত্রিত করাটায় এই মুহূর্তে জরুরি৷