আ.লীগ স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে: গয়েশ্বর
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে। নিজস্ব পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে রাতে ভোট দিয়ে এই গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাই দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের ক্ষেত্রে রাজপথের বিকল্প নেই।
গয়েশ্বর বলেন, টিভি পত্রিকায় দেখানো হয় ২ হাজার ডলারের বেশি মাথাপিছু আয় বেড়েছে। কিন্তু একটা কথা বলা হয় না, জনগণের মাথাপিছু কত টাকা ঋণের বোঝা আছে। আয় ও বৈদেশিক মুদ্রার কথা যদি হিসেব করি তাহলে চাল কেনার টাকা থাকার কথা না। এই ঋণের টাকা এত হলো কেন? শুধুই উন্নয়নের চাপাবাজি শুনি। সাংবাদিক ভাইদের বলবো উন্নয়নের পেছনে যে দুর্নীতি চলছে নীরবে নিভৃতে প্রকাশ্যে সেসব জনগণকে বলেন না কেন? যদি দুর্নীতি না থাকতো তাহলে এতো টাকা পাচার হল কীভাবে?
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বর্তমানে দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে। টিসিবির লাইনে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে স্বল্পমূল্যে, ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে। করোনার কারণে বেকার সমস্যা দেখা দিয়েছে। কল-কারখানার উৎপাদন কমেছে। তারা আগের মতো লোক রাখতে পারছে না। ছাঁটাই করছে। দেশে কাজের অভাব। দিনমজুররা কাজ পায় না। এরমধ্যে দাম বেড়েছে। মাঝে মধ্যে গর্ব করে বলা হয়, আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি। আগে স্বল্প আয়ের দেশ ছিল। ১০ বছরে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি। কিন্তু দেশের বাজারমূল্য বিবেচনা করলে দেখা যাবে, উচ্চ আয়ের দেশের চেয়ে দাম বেশি। তাহলে এটা কোন ধরণের মধ্যম আয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ এলাকার শরীফুন নেছা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নের কথা বলে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। সেই কারণ দেশের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। হচ্ছে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার উন্নয়ন। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রীর বিয়াই দশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাদের কাজই শুধু লুটপাট করে দেশের টাকায় বিদেশের বাড়িতে ঘরবাড়ি করা।
তিনি বলেন, কথায় কথায় যিনি মানুষ মারতে অভ্যস্ত, মানুষকে গুম করে ফেলতে অভ্যস্ত, যিনি অন্যের সমালোচনা শুনতে অভ্যস্ত না। তাকে আর যাই বলা হোক গণতান্ত্রিক রাজত্বের একজন স্বাভাবিক মানুষ বলা যায় না। গণতন্ত্র মানেই তো বহু মত, বহু পথ। গণতন্ত্র মানেই তো সমালোচনা থাকবে। অন্যের মত তিনি গ্রহণ না করুক কিন্তু মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তো দিবে? দেশ থেকে গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে। এই গণতন্ত্র উদ্ধারের ক্ষেত্রে রাজপথের বিকল্প নাই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের জেল জুলুমের শিকার হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিথ্যা মামলা হামলায় জেল খাটছেন। বাংলাদেশের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে হতাশ হয়ে পড়েছে বাংলার মানুষ। বিচার চাইবো রাস্তায়, সরকারকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে আনতে হবে, আন্দোলন হবে জনগণের ভোটের আন্দোলন, খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলন।