ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যে সরকারের উচ্ছিস্টভোগীদের চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে: গয়েশ্বর
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলামের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তবে এই ঘটনাকে ‘সুখবর’ বলছেন তিনি। তাঁর মতে এমন ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকার এবং তাদের উচ্ছিস্টভোগীদের আসল চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে। এতে করে তাদের বিষয়ে জনগণের করণীয় নির্ধারণের কাজ অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছেন তিনি।
রবিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গুম-খুনের শিকার পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শনিবার রাজারবাগে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একটি পার্টির সিনিয়র নেতা বলা শুরু করেছেন, তাদের নেত্রী নাকি এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা। এর চেয়ে হাস্যকর…। কী আর বলব।’
তাঁর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘একজন ব্যক্তি স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর গৃহকর্মীর ন্যায় আচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে যারা কর্মরত আছেন, তাদের কাছে ভালো কিছু আশা না করা ভালো। তবে এটাও একটা সুখবর। দিন তাদের বেশি দিন নাই। শেষ সময়ে হোক, অল্প সময়ের জন্য হোক, তাদের আসল চরিত্র বেরিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে তাদের চিনতে সহজ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যত লোক আছেন, বর্তমান সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী, সবাই স্বরুপে আবির্ভূত হোক জনগণের সামনে। জনগণ তাদের চিনতে পারবে। ভবিষ্যতে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে পারবে। তাদের বিষয়ে জনগণের করণীয় নির্ধারণ সহজ হবে। অর্থাৎ মানুষ চেনার জন্য বেশি কষ্ট করতে হবে না।’
অনুষ্ঠানে গুম-খুন প্রতিরোধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা গুম-খুনের এই অধ্যায়টা বন্ধ করতে চাই। এই বিষয়টা থাকুক আর আমরা কাজ করি, আমরা এটা চাই না। আর নয়। এজন্য আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। পলায়ণপর মনোবৃত্তি চলবে না।’