দেশে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা মারাত্মকভাবে বেড়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন সেলেব্রিটির ফেসবুক প্রোফাইলে হঠাৎ করে ‘রিমেম্বারিং’ দেখাতে শুরু করে। যার অর্থ তিনি মারা গেছেন, ফেসবুক তাকে স্মরণ করছে। এ তালিকায় রয়েছেন- অভিনেতা, অভিনেত্রী, মডেল, ফেসবুক এবং ইউটিউব সেলেব্রিটিরা।
ফেসবুকের একটি বিশেষ অপশন রয়েছে- কেউ মারা গেলে তার মৃত্যুর খবর ফেসবুককে জানালে, তার অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করে রাখা হবে। অর্থাৎ প্রোফাইলটি থাকবে ঠিকই কিন্তু এটি আর সক্রিয় থাকবে না, কেউ সেখানে ঢুকলেই বুঝতে পারবেন এই অ্যাকাউন্টের মালিক আর বেঁচে নেই।
কীভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং করা হচ্ছে :
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ক্রাইম শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জোনায়েদ আলম সরকার বলেন, অনেকেই নিজেদের অ্যাকাউন্টের আইডি আর পাসওয়ার্ড হয়তো একই ইমেইল বা ফোন নম্বর রাখেন। অথবা নিজের নাম বা জন্মতারিখ পাসওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করেন। ফলে এসব হ্যাকার চক্র সহজেই পাসওয়ার্ড ভেঙ্গে ফেলে।
তিনি বলেন, আরেকটা পদ্ধতি হলো ফিশিং। এরা কোন একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং করে, সেই ব্যক্তির পরিচিত ব্যক্তিদের আকর্ষণীয় বা লোভনীয় কোন লিংকে ক্লিক করার জন্য বলে। সেখানে ক্লিক করা হলেই সেসব অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যায়। এভাবে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে তারা আরও অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার পথ তৈরি করে।
বাংলাদেশে কারা হ্যাকিং করছে?
বাংলাদেশে ‘ব্ল্যাক ৪২০ স্প্যামিং’ এর ফেসবুক পেজে দেখা গেছে- অসংখ্য মানুষের ফেসবুক আইডি, পেজ বা গ্রুপ ডিলিট, অকার্যকর করার ঘোষণা রয়েছে।
দেশে ফেসবুক হ্যাকিংয়ের বড় একটি কারণ হলো চাঁদাবাজি বা ব্ল্যাকমেইলিং করা। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বেই এই অপরাধী চক্র রয়েছে।
অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার পর চ্যাটিং হিস্ট্রি বা প্রোফাইলে একান্ত ব্যক্তিগত চ্যাটিং, ছবি বা ভিডিও পেয়ে যায় হ্যাকাররা। তখন ওই ব্যক্তিকে বলে, তাদের টাকা দেয়া না হলে এগুলো ঘনিষ্ঠজনদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আবার ফেসবুক একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে, সেটা ফিরিয়ে দেয়ার জন্যও চাঁদা দাবী করা হয়।
অনেক সময় মানসম্মানের কথা চিন্তা করে চাহিদা মতো টাকা দিয়ে দেন অনেকেই। এভাবে অর্থ আদায় করতে পারায় বাংলাদেশেরই কোন কোন এলাকায় হ্যাকিং পেশা হিসাবে নিয়েছে অপরাধী চক্র।