মার্চ মানেই মেজর জিয়া বলছি: গয়েশ্বর
মার্চ মানেই মেজর জিয়া বলছি মন্তব্য করে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এখনো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলছেন দেশটাকে স্বাধীন করো, দেশটাকে মুক্ত করো।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরামের’ উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়া ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের সামনে দুটো পথ আছে— হয় জেলখানা, না হলে রাজপথ। আমরা যদি কোনোটাতেই না থাকি তাহলে কাপুরুষের মতো মরতে হবে। যে মৃত্যু ইতিহাসের পাতায় কোনো সম্মান পাবে না।
গয়েশ্বর বলেন, যারা রাজনীতি করে তারা জেলখানায় গেলে সম্মান নষ্ট হয় না। কেউ কেউ বলেন আমরা ভালো থাকতে চাই। ভালো যদি থাকতে পারতাম তাহলে প্রতিদিন মিটিং-মিছিল করতাম না। এ দেশে ভালো থাকার উপায় নেই। একটা ফ্যাসিবাদী সরকার অস্ত্রের জোরে মসনদে বসে আছে, তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের দল না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে গণতন্ত্র আছে। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তারা বৃহত্তম দেশ। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকুক সেটা তারা চায় না। কয়েকদিন দেখা যায় বিজেপির নেতা আসছে দেশে। ভারতের হাইকমিশনার তো প্রায়ই আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বসেন। মানে একজন হাইকমিশনারের কাজ হচ্ছে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তারা ডিনার করেন, কিন্তু অন্য দলের সঙ্গে তাদের কথা বলতেও দেখা যায় না। তার মানে বোঝা যায় আওয়ামী লীগ দেশের দল নয়। তা নাহলে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতার জন্য পাশের দেশ থেকে নেতা এসে কর্মী সভা করে কেন? অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তো তারা সৌজন্য সাক্ষাৎও করে না। খালেদা জিয়া অসুস্থ আছে অনেক দিন ধরে দেখেছেন প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূত এসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে গেছেন তার সঙ্গে?
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, তারা তো শুধু দেশটাকে শেষ করছে না। তারা দেশের সবকিছু শেষ করে ফেলছে। মানুষের যে অধিকার সেটা তারা বিশ্বাসই করে না। বরং মানুষের অধিকার হরণ করছে। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য জনগণ নয়। জনগণের টাকা লুটপাট করা। সেই সম্পদ সামাল দিতে পারছে না বলেই বিদেশে পাচার করছে।