মুদ্রা পাচারের সাথে জড়িতদের বিচার হবে জনতার আদালতে: গয়েশ্বর

0

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মুদ্রা পাচারের সাথে জড়িতদের বিচার হবে জনতার আদালতে।

তিনি বলেন, গত ১২ বছরে গুম, খুন, মুদ্রা পাচার, লুটপাট অনেক করেছেন। ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন। এখনো সময় আছে। জনগণের কাছে মাফ চান। পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। দেশে থাকার পরিবেশ সৃষ্টি করুন। বিএনপিকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। হত্যা, গুম খুন করে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। হাতে সময় নেই। অল্প সময়ের মধ্যে তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো হবে।

তিনি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনে রাখবেন আপনারা জনগণের কর্মচারী এবং তারাই বেতনভাতা দেয়। কিন্তু অনেকে নিজেকে সরকারি দলের কর্মচারী মনে করেন।

তিনি প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকবে না তখন আপনারা কোথায় যাবেন? তাই জনগণের মুখোমুখী হবেন না। আপনারাও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার যুদ্ধে শামিল হোন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর মতো গণতন্ত্র গুম হয়ে গেছে। একে খুঁজে বের করতে হবে। বিএনপি দলের মধ্যেও গণতন্ত্র চর্চা করে। তাই গোপন ব্যালটে তৃণমূল নেতা নির্বাচন করছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কিভাবে করতে হয় আওয়ামী লীগকে শিখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মার্চ মাস মানেই আমি মেজর জিয়া বলছি। জিয়ার ঘোষণায় দেশ স্বাধীন হয়েছে। অথচ তার স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় চার বছর ধরে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনিও ৯ বছর আন্দোলন করে এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছিলেন । এরপর থেকে আজো গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করছেন।

তিনি শনিবার শহরের কেন্দ্রীয় ইদগাহে অনুষ্ঠিত বগুড়া শহর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা।

তিনি বলেন, নতুন নেতৃত্বে রাজপথের আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়া হবে। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়।

শহর বিএনপির আহ্বায়ক মশিউর রহমান শামীমের সভাপতিত্বে ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনার পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবর রহমান ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে মাহবুবর রহমান শামিম (চট্টগ্রাম), ডা: সাখাওয়াত হাসান জীবন (সিলেট), মোস্তাক মিয়া (কুমিল্লা), অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরীন (বরিশাল), মিসেস শামা ওবায়েদ (ফরিদপুর) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (খুলনা) ঢাকা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, রাজশাহী বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বগুড়া সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম মো: সিরাজ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে অ্যাডভোকেট এ কে এম সাইফুল ইসলাম, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল ও মোশারফ হোসেন এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, বিএনপি নেতা এম আর ইসলাম স্বাধীন, সদর উপজেলার নবনির্বাচিত সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, তৌহিদুল আলম মামুন,খাদেমুল ইসলাম, মাজেদুর রহমান জুয়েল, আবু হাসান প্রমুখ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন বিকেল ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গোপন ব্যালটে ১২শতাধিক কাউন্সিলর ভোট দেন। এরপর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী হিরু।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com