জনগণের ‘কণ্ঠরোধ’ করতেই হচ্ছে আরও ২ নীতিমালা: বিএনপি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ওটিটি খসড়া নীতিমালার কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের কণ্ঠরোধ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা।
শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।
বিটিআরসি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ওটিটি খসড়া নীতিমালার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিবর্তনমূলক এই দু’টি নীতিমালা কার্যকর করা হলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি অনলাইনভিত্তিক মিডিয়াগুলোর মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
‘পাশাপাশি অনলাইন এনক্রিপশনকে অকার্যকর করে অনলাইন নিরাপত্তাকে দুর্বল করে তুলবে। এর ফলে মানবাধিকারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পরবে এবং সাংবাদিক, বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে পরবে’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন করে ৫৭ ধারা যোগ করে এবং ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং মিডিয়ার বাক্স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রিত করার পর এখন অবশিষ্ট সামান্য যে বাক্স্বাধীনতাটুকু রয়েছে সেটুকু পুরোপুরি কেড়ে নেওয়ার জন্য সরকারের দু’টি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দু’টি নতুন নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
বিটিআরসির খসড়া রেগুলেশনের বিস্তারিত তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সমস্যা হচ্ছে- তারা রাষ্ট্র এবং সরকারকে এক করে দেখে। সেই কারণে সরকারের মন্ত্রী-আমলাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখলেও তারা সেটাকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রচার বলে মনে করে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় মামলা দিয়ে হয়রানির মধ্যে ফেলে।’
তিনি বলেন, সরকারের করা এসব নীতিমালা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। নতুন দুই আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের থেকেও খারাপ।