ফিলিস্তিনে সিজদারত মুসুল্লিদের গণহত্যার ২৮ বছর, কী ঘটেছিল সেদিন
১৯৯৪ সালের আজকের এই দিনে (২৫ ফ্রেব্রুয়ারি) ফিলিস্তিনের খলিল তথা হেবরনে অবস্থিত ইবরাহিমি মসজিদে এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ওই দিন ফজর নামাজের সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটান ইসরাইলি চরমপন্থী সেনা সদস্য বারুচ গোল্ডেস্টাইন। এই হত্যাকাণ্ডটিকে ইতিহাসে ইবরাহিমি মসজিদ হত্যাকাণ্ড বা পিতৃপতিদের গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
একইসাথে দিনটি ছিল ১৪১৪ হিজরির ১৫ রমজান। মুসুল্লি সংখ্যা অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশিই ছিল। তারা যখন সিজদায় যান তখনই এ হত্যাকাণ্ড ঘটান ওই উগ্র ইহুদি। এতে শিশুসহ কমপক্ষে ২৯ জন মুসুল্লি নিহত হন, আহত হন আরো অন্তত ১৫০ জন। যদিও সেদিন অন্যান্য মুসুল্লিরা বারুচ গোল্ডেস্টাইনকে হত্যা করে এই গণহত্যা থামাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ওই দিন উগ্রবাদী ইহুদি বারুচ গোল্ডেস্টাইন একটি দলসহ ইবরাহিমি মসজিদে অনুপ্রবেশ করেন। সেনা-সাজে ছিলেন তারা। মসজিদের ভেতর একটি পিলারের পেছনে এসে দাঁড়ালেন এবং অপেক্ষা করতে লাগলেন মুসুল্লিরা কখন সিজদায় যান। এরপর যখনই তারা সিজদায় গেলেন, তখনই গোল্ডেস্টাইনের নেতৃত্বে ওই সন্ত্রাসীরা ইতিহাসের বর্বরতম একটি গণহত্যা চালালো। সিজদারত মুসুল্লিদের উদ্দেশে মেশিনগান থেকে উপর্যুপরি তিন ম্যাগাজিন গুলি ছুড়ল তারা। এতেই ২৯ মুসুল্লি শাহাদাত বরণ করেন আর আহত হন ১৫০ জন।
বারুচ গোল্ডেস্টাইন হেবরনেই বেড়ে উঠেছেন। ইহুদিবাদী এক চরমপন্থী স্কুলে উগ্রবাদী ক্যাচ আন্দোলনের প্রশিক্ষিতদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। কিন্তু সেখানের মুসলিমরা তার সম্পর্কে জানতেন। তাকে প্রায়ই ইবরাহিমি মসজিদের চত্বরের সামনে হাঁটাচলা করতে দেখতেন তারা।
তিনি ওই সব ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত যারা ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে মুসলিমদের উৎখাত করার প্রবক্তা ছিলেন। আর তার সেই লালিত মন্দ ইচ্ছা পূরণ করতেই রমজান মাসকে তিনি বেছে নিয়েছিলেন এবং ১৯৯৪ সালের ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি আজকের এই দিনে গোল্ডেস্টাইন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
সূত্র : আলকুদস