‘পুতিন একজন খুনি’ বলছে ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদকারীরা

0

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনে হামলার পর নিন্দার ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে। খবর পাওয়া গেছে, রুশ বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৩৭ জন ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩১৬ জন সৈন্য। হামলার দ্বিতীয় দিনেও তুমুল লড়াই চলছে উভয়পক্ষের মধ্যে। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। তবে রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাব দেখে বিশ্লেষকরা মনে করছেন রাজধানী কিয়েভ দখলে নিতে খুব বেশি দেরি নেই মস্কোর।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হামলার নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে। প্রতিবাদকারীরা বলছেন, রাশিয়া যুদ্ধের পক্ষে নয়। প্রতিবাদ মিছিলে অনেকে পুতিনকে একজন ‘খুনি’ হিসেবেও চিহ্নিত করেন।

‘যুদ্ধ না’। বৃহস্পতিবার রাতে সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রধান রাস্তা নেভস্কি প্রসপেক্টে জড়ো হওয়া বেশিরভাগ তরুণ রাশিয়ানদের ভিড় দেখা গেছে। এসময় তারা যুদ্ধের প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। চারদিক থেকে ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলে রুশ সেনারা। টানা এক মাস ধরে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনার পর এ হামলা চালালো পুতিন সরকার।

হামলার নির্দেশনার আগে পুতিন ন্যাটোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘এটা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ ছিল না, কারণ আমাদের সীমান্তের দৌরগোড়ায় পৌঁছেছে যুদ্ধের মেশিন’।

এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করছে পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও আপাতত এসব নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছেন না প্রেসিডেন্ট পুতিন।

হামলার প্রতিবাদে মস্কোর রাস্তায় অনেকে জড়ো হলে প্রতিবাদকারীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। বেশ কয়েকজনকে আটক করার খবরও পাওয়া গেছে। মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ, সামারা, রিয়াজান এবং অন্যান্য শহর থেকে শতাধিক মিউনিসিপ্যাল ডেপুটি রাশিয়ার নাগরিকদের কাছে একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাদের অংশগ্রহণ না করার বা নীরব থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত ডেপুটিরা, ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর হামলার নিন্দা জানাই। এটি একটি নৃশংসতা’।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা বলছেন, ‘প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় নামতে আমাদের লজ্জা নেই, কিন্তু লজ্জা পাচ্ছি আজকের সকালের জন্য।’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আধুনিক যুগের হিটলার বলে উল্লেখ করেন ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির বর্তমান আইনপ্রণেতা পেট্রো পরোশেনকোও।

এদিকে, ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে ইউক্রেনজুড়ে। এছাড়া হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামেন লন্ডন,প্যারিসসহ আরও কয়েকটি বড় শহরের মানুষ।

সূত্র: আল-জাজিরা

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com