দেশের স্বার্থ-নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস নয়: পুতিন
রুশ সামরিক আগ্রাসনের মুখে থাকা ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের দ্বার খোলা রেখেছে। তবে সেখানে নিজ দেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিয়ে কোনো কথা বা আপস করা হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এক ভিডিও বার্তায় পুতিন বলেন, রাশিয়া সবসময়ই সরাসরি এবং সৎ আলোচনার জন্য প্রস্তুত থেকেছে। তবে নিজেদের সেনাবাহিনীর প্রতিও পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন, তা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ এবং গত সোমবার ইউক্রেনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া।
শুধু স্বীকৃতি দিয়ে পুতিন ক্ষান্ত হননি, বরং শান্তিরক্ষার নামে ওই দুই অঞ্চলে রুশ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার পার্লামেন্ট তাকে এই অনুমতি দিয়েছে। রাশিয়ার আরও সেনা ইউক্রেন সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পুতিনের ভিডিও বার্তা প্রকাশের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছিলেন, ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হচ্ছে’। বাইডেন বলেন, ‘পশ্চিমা দেশ থেকে রাশিয়ার অর্থ পাওয়ার রাস্তা আমাদের বন্ধ করতেই হবে।’
ইউক্রেন সংকট নিয়ে এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং তাদের মিত্রদেশগুলো রাশিয়ার উপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওইসব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে দেশটি।
ইউক্রেন সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু এখন আর ওই বৈঠক হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গে তাদের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন।
এদিকে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার দেশের সব নাগরিককে রাশিয়া ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত রুশ দূতাবাস থেকেও কর্মীদের ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে মস্কো।
কিয়েভের রুশ দূতাবাসের মুখপাত্র ডেনিস গোলেঙ্কো বার্তা সংস্থা তাসকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, এরই মধ্যে দূতাবাসের রুশ কর্মকর্তারা ইউক্রেন ত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন।