কমছে আমানত, বাড়ছে ঋণের চাহিদা

0

দেশের সার্বিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে অপ্রত্যাশিত ‘অস্বাভাবিকতা’ দেখা দিয়েছে। বড় ধরনের দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ ও মহামারির সময় অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়ে। কিন্তু সেটি সাময়িক। চলতি অর্থবছরসহ ২০২০ সাল থেকে দফায় দফায় করোনার আঘাতে অর্থনীতি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে লকডাউন চলাকালে অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়ে মানুষের জীবনযাত্রা, ব্যবসাবাণিজ্যসহ সবকিছু। কিন্তু যখন আমানত কমার কথা, তখন বেড়েছে; আবার যে সময়ে এসে আমানত বাড়ার কথা, তখন কমে যাচ্ছে। বিপরীতে বাড়ছে ঋণের চাহিদা। এছাড়া এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে আরও একটি বিষয় বিশেষভাবে বিশ্লেষকদের ভাবিয়ে তুলেছে।

সেটি হলো মহামারির সময় যে হারে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মানুষের হাতে রাখার কথা ছিল, সেটি হয়নি। তাহলে ওই সময় বেশির ভাগ মানুষ যে অর্থ খরচ করেছে তার একটি বড় অংশের উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। সূত্রমতে, মহামারি করোনা সংক্রমণের পর থেকে এখন পর্যন্ত অর্থনীতির সূচকে অস্বাভাবিক উত্থান-পতন হচ্ছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবাহ অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেছে। একই মাত্রায় বেড়েছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহও। ওদিকে ব্যাংকবহির্ভূত মুদ্রার প্রবাহ কমে গিয়ে এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। তবে কমে গেছে আমানতের প্রবৃদ্ধি, যা উদ্বেগজনক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে শুরুতে সবকিছু স্থবির থাকায় অর্থনীতির সব সূচকেই নেতিবাচক চিত্র দেখা দেয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সবকিছুতেই চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে এখন সূচকগুলোও লাফিয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে। কিন্তু তদারকি রাখতে হবে যাতে কোনো নেতিবাচক দিকে এই উল্ফন ব্যবহৃত না হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে আমানতের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা যেতে পারে।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com