জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এবার জনগণই আ.লীগকে প্রতিহত করবে: নজরুল
অনুগত ও অপদার্থ নির্বাচন কমিশন গঠনের চলমান প্রক্রিয়াকে দলীয় স্বার্থে আইনি রূপ দেওয়ার বিষয়টি সরকারি অপপ্রয়াস হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যে লাউ, সেই কদু। এবার সম্ভবত হতে যাচ্ছে পচা কদু।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এটা পর্বতে মুসিকের চেয়ে বেশি কিছু প্রসব করবে না। এতো দিন ধরে যেটা প্রশাসনিক কায়দায় হয়েছে এখন সেটা আইনি কায়দায় হবে। খসড়া আইন আরেক প্রস্তাব করা হয়েছে যে, সরকারি চাকুরির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ছাড়া কেউ এটার সদস্য হতে পারবেন না। অর্থাত সিভিল সোসাইটির কেউ অথবা কোনো শিক্ষাবিদ, কোনো আইনজ্ঞ তারা কেউ সদস্য হতে পারবেন না। দুনিয়ার কোথায় এরকম বিধি-নিষেধ আছে।
খসড়া আইনের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিনা ভোটের অনির্বাচিত একটি অবৈধ সরকারের নিকট থেকে জনগণ এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে না বলে তারা মনে করে যে, একটি নিরপেক্ষ, স্বাধীন যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের নৈতিক যোগ্যতা ও সামর্থ্য আছে শুধু একটি নির্বাচিত সরকারের।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা তো এই সরকারের এবং এই সরকারি প্রশাসনের অধিনে নির্বাচন করতে রাজী না। আমরা এটা বলে দিয়েছি যে, এই সরকার যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না তারা গণবিরোধী এবং তাদের সাজানো যে প্রশাসন তার অধিনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাবো না। আর তাদের করা যে নির্বাচন কমিশন অযোগ্য, অপদার্থ হিসেবে সারা দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত তাদের অধিনে তো আমরা নেই।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখলাম সেটা হলো, একদিক থেকে রাষ্ট্রপতিও কোনো ক্ষমতা নাই, যারা গেছেন তাদেরও কোনো ক্ষমতা নাই। এই সংলাপ অর্থহীন এটা ইতিহাস প্রমাণ করে। এই সংলাপে কোনো কিছুই অর্জিত হয় নাই বরঞ্চ ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।