খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা হচ্ছে — ইকবাল মাহমুদ টুকু

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘হিটলার যেমন তার দেশের গণতান্ত্রিক মানুষদের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করেছে তেমনি আজ গনতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পিজি হাসপাতালে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প বানিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

শনিবার, জানুয়ারি ৪, ২০২০, দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এলডিপির (একাংশ) জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, গত ১০ বছর বিএনপির ওপর যে নির্যাতন হয়েছে তা ওই হিটলারের সঙ্গে তুলনা করা যায়। ইহুদিদের হিটলার যে নির্যাতন করেছিল তার চেয়েও এখন আমাদের খারাপ অবস্থা। আমরা এখন জামিনে আছি, হয়তো এখনও ধরে নিয়ে যেতে পারে। সেই অবস্থায় বিএনপি যে এখনও দল হিসেবে টিকে আছে, এটাই বড় কথা। তবে বিএনপি সুযোগ পেলে যে মৌমাছির মতো বেরিয়ে পড়ে, এটাই হলো বিএনপির বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

তিনি বলেন, ‘আমাকে প্রায়ই সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, ২০১৯ সাল চলে গেল, আপনারা ঘুরে দাঁড়াতে পারলেন না। আমি সাংবাদিক ভাইদের বলতে চাই, আপনারাও-তো ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। আপনারা কেন লিখতে পারেন না? সেটা বলেন আগে। আপনারা টিভিতে কেন প্রচার করতে পারেন না। সেটা আগে বলেন। আপনারা বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় কত ভয়ে আপনারা থাকেন যে, সত্যটাকে সত্য বলতে পারেন না। ২৯ ডিসেম্বর রাতে কীভাবে সারাদেশে কারফিউ দিয়ে ভোট কেটে নিল, সে কথাটা বলার কোনো সাহস কোনো টেলিভিশন কেন্দ্রের নাই।’

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৬০-এর দশকে আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করেছি। ওবায়দুল কাদের কী ছিল তা আমরা জানি। তিনি সারাক্ষণ বলেন, বিএনপি নাই, বিএনপি নাই; বিএনপি ১০ পার্সেন্ট। তো বিএনপি যদি নাই থাকে তাহলে বিএনপির জন্য যে এনার্জি ক্ষয় করেন, ওই এনার্জিটা ওই যে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এলাকায় গিয়ে গাড়ির গ্লাস খুলতে পারেন না, সেখানে গিয়ে কাজে লাগান না কেন? খামাখা এ বিএনপির পেছনে সময় নষ্ট করে লাভ কী!

‘খালেদা জিয়াকে ভয় পেয়ে সরকার তাকে লাশ ছাড়া বের করতে চায় না’ উল্লেখ করে টুকু বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকলে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু ক্ষমতা যখন চলে যায় তখন পালাবার রাস্তা থাকে না।’

১০ লাখ রোহিঙ্গা আসায় জান বের হয়ে যাচ্ছে, উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আবার যদি ভারত থেকে দুই কোটি আসে তাহলে কোথায় জায়গা দেবেন? ওনারা বলছেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিলেন, আসুক আমরা নিয়ে নেব। অলরেডি আসা শুরু করেছে। যশোরের বর্ডার দিয়ে চার হাজার পুস ইন করেছে। আসামে ১৪ লাখ বাদ দিয়েছে। এরা কোথায় যাবে? বাংলাদেশে আসবে।

যতক্ষণ মোদিজিকে শাড়ি-মিস্টি পাঠানো যাবে, ধুতি পাঠানো যাবে, ততদিন খুশি থাকবে, ক্ষমতায় থাকা যাবে বলে দাবি করেন এ রাজনীতিক। বলেন, মমতা ব্যানার্জি ভারতের মধ্যে থেকে ভারতের এ আইনের প্রতিবাদ করে রাস্তায় নেমেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কী করছেন? আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা কী করছেন? কথা বলার সাহস নাই। কারণ ক্ষমতায় তো টিকে আছে ওই ভারতের দাসত্ব করে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই হলের মধ্যে বসে থাকলে হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে হলে, তারেক রহমানকে ফেরত আনতে হলে প্রথমে গণতন্ত্র প্রয়োজন। একমাত্র বুকের তাজা রক্ত ঢালতে পারলেই গণতন্ত্র আসবে, না হলে আসবে না।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com