গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সবাইকে সংগঠিত হতে হবে — সেলিমা রহমান

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, সরকার আমাদেরকে মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ করতে দেয়না। আমাদেরকে কথা বলতেও দেয়া হচ্ছে না। প্রতিবাদ করলে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র মরবে না। সরকারের পতন হবেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে থেকে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। সুস্থ্য অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন সফল করতে সকলকে সংগঠিত হওয়ার আহবান জানান তিনি।

শনিবার, জানুয়ারি ০৪, ২০২০, দুপুরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ছনকান্দায় বিগত নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত বিএনপিকর্মী আব্দুর রশিদের স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাতে আব্দুর রশিদসহ বিএনপির ১৯ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, যতবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে ততবারই দেশে দুঃশাসন নেমে আসে। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং এখন ভোট না পেয়েও অবৈধভাবে জোর করে প্রশাসনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় বহাল আছেন এবং একই ভাবে দুঃশাসনে জুলুম নির্যাতন করে মানুষকে নিপীড়ন করছে। আজকে সরকারের হাতে মানুষ গুম খুন হচ্ছে, নারী-শিশুরাও ধর্ষণ হচ্ছে। ধর্ষণ ও হত্যাকারিরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। দেশে কোনো বিচার নেই। এখন ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা ভার্সিটিকে টর্চারসেল বানিয়ে মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করছে। লেখাপড়ার পরিবেশ নেই। এখন দুঃশাসন চলছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থেকে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্যই খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখেছে। খুব অসুস্থ্য থাকার পরও খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয়ে জামিন পাওয়ার যোগ্য হওয়া সত্বেও তাকে জামিন দিচ্ছে না।

বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার চারদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে। তাই দেশের মানুষ এখন বলে ‘ভোট ছাড়া প্রধানমন্ত্রী হয়, অপরাধ ছাড়া জেল হয়, পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হয়, বাংলাদেশে সবই সম্ভব হয়।’

সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বর্তমান সরকার মধ্যরাতের সরকার। এজন্যই তারা বিএনপি ও জনগণকে ভয় পায়। তারা দেশের রাজনীতিকে সংকুচিত করে রেখেছে। আজকে দেশে রাজনীতি বলে কিছু নেই। প্রশাসন বলে কিছু নেই। সরকার বলেও কিছু নেই। দেশকে আজ পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।

ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু ও আলমগীর মাহমুদ। সভা শেষে মরহুম আব্দুর রশিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সভায় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেজ আলী মামুন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকরুদ্দিন আহমদ বাচ্চু, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রুকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিদারুল ইসলাম রাজু, শ্রমিকদলের সভাপতি আবু সাঈদ, ছাত্রদলের জেলা সভাপতি মাহবুবুর রহমান রানাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com