খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার আন্দোলন আরো কঠোর-দুর্বার করতে হবে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য তার মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে যে আন্দোলন শুরু করেছে সে আন্দোলনের গতি পরিবর্তন করে আরো কঠোর ও দুর্বার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জানি দেশনেত্রী সত্যিকার অর্থে গুরুতরভাবে অসুস্থ। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার খুব দ্রুত বাইরে যাওয়া প্রয়োজন। কারণ এখানে আমাদের কাছে সেই চিকিৎসাটা নেই যে চিকিৎসা দিলে তিনি সুস্থ হবেন। তাই তার বাইরে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এই সরকার সেটা দিচ্ছে না। এমনকি এ বিষয়ে তারা কোনো কর্ণপাত করছে না। উপরন্তু তারা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বহু কথাবার্তা বলছেন। আমরা মনে করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য এই কথা বলে হবে না। আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি সেই আন্দোলনের গতিপথ পরিবর্তন করতে হবে। আরো দুর্বার ও কঠিন করতে হবে এবং দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাকে সুচিকিৎসার জন্য আমরা বাইরে পাঠাতে পারব।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এটা আমরা বহুবার বলেছি। আমরা জানি, একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। কারণ কী? কারণ একটাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রাখা যাবে না। তিনি যদি বাইরে থাকেন তাহলে তার মধ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার যে ক্ষমতা আছে, তার প্রতি জনগণের যে ভালোবাসা আছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার তার যে ক্ষমতা আছে তা দেখে এই সরকার ভয় পায়। সেই জন্য তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটি ভয়াবহ সঙ্কটে আছি। এই সঙ্কটটা শুধু বিএনপির নয়, এই সঙ্কট কৃষকদলের নয়, এই সঙ্কট বেগম খালেদা জিয়ার নয়। এই সঙ্কট সমস্ত জাতির।
তিনি বলেন, আজকে এমন একটি অগ্রহণযোগ্য বেআইনি সরকার আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আছে যারা আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে এই সরকার মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করো না। সভা-সমাবেশ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এটা সংবিধানে উল্লেখ আছে। কিন্তু আমাদের সেই সাংবিধানিক অধিকারগুলো তারা কেড়ে নিয়ে সত্যিকার অর্থে আমাদের একটি বন্দী জাতিতে পরিণত করেছে।
কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।