পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীরসহ র্যাবের ছয় কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ র্যাবের ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব দ্য ট্রেজারি।
গতকাল শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ সিদ্ধান্ত দেন বলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের মোট ১৫ ব্যক্তি ও ১০ সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব দ্য ট্রেজারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিদেশি নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সেকশন ৭০৩১ (সি) এর আওতায় ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকায় বেনজীর আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। মূলত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাবের দায়িত্ব পালনের কারণেই তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা।
শুধু বেনজীর আহমেদই নন, তিনিসহ র্যাবের ছয় কর্মকর্তাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য কর্মকর্তারা হলেন- র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল আল মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান। যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর ৬ শতাধিক গুম ও ৬ শতাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের কথা জানিয়েছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব দ্য ট্রেজারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্যরা হলেন- চীনের উইঘুরের নেতা সোহরাত জাকির ও এরকেন তিউনিয়াজ, চীনের প্রতিষ্ঠান সেন্সটাইম গ্রুপ লিমিটেড, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট জুসতো এবং এর প্রভোস্ট দিমিত্রি ইউরেভিচ সোয়েন, এসইকে স্টুডিও এবং এর সাবেক কর্মকর্তা লু হেঝেং, নিংস কার্টুন স্টুডিও, সাংহাই হোংম্যান কার্টুন অ্যান্ড এনিমেশন স্টুডিও, মিয়ানমারের ব্যাগো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিও সুই উইন, কেইন রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী সোয়ে মিন্ট ও, মান্দালে রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মং কো, কোচিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খত তেই নান এবং ডাইরেক্টরেট অব ডিফেন্স ইন্ডাস্টিজ, কোয়াটার মাস্টার জেনারেল অফিস ইত্যাদি।
এর আগেই মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ বেশ কয়েকজন সেনাকর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।