মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ৭ কর্মকর্তাসহ র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধে অংশ নিয়ে র্যাব আইনের শাসন ও মানবাধিকার খর্ব করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ এতে হুমকির মুখে পড়েছে।
ট্রেজারি বিভাগের নিষেধাজ্ঞায় থাকা কর্মকর্তারা হলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ (র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক), র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খান।
র্যাব এবং এর সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তাসহ বিশ্বের ১০ প্রতিষ্ঠান ও ১৫ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এর মধ্যে র্যাব ও এর ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে,
পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বেনজীরের পাশাপাশি র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের নাম উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া চীন, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান এ তালিকায় রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও র্যাব–৭ এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর। বাংলাদেশের এ দুজন ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের ১০ কর্মকর্তার ওপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৮ সালে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় কক্সবাজারের টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হককে ‘তুলে নিয়ে হত্যার ঘটনা’ উল্লেখ করে এতে ওই দুই কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীর এবং মিফতাহ আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়ালি আডেয়েমো জানিয়েছেন, এ নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাজ্য ও কানাডার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিনি বলেন, যারা নিপীড়ন চালাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করবে তাদের জন্য এ পদক্ষেপ একটি বার্তা যে, নিপীড়কদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র কথা বলবে।