বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান: রাষ্ট্রদূত মিলার
গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের কাঠামো আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
তিনি একটি ভার্চুয়াল সংলাপে মূল বক্তব্যে বলেন, ‘গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয় যখন সব মানুষকে সম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের অধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং ভোটের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।’
কসমস ফাউন্ডেশন চলমান অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এই সংলাপের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত স্থিতিস্থাপকতা, প্রতিশ্রুতি এবং সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলা একটি দেশ, কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে গণতান্ত্রিক উন্নয়নেও এগিয়ে যেতে হবে এবং গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারকে ‘পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী করতে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ, সব নাগরিকের জন্য মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে অবিরাম কাজ করতে হবে।
মিলার বলেন, একটি বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে তিনি মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলো সর্বোচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করা তার কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে’ সমর্থন করে যা বাংলাদেশী জনগণের ইচ্ছাকেও প্রতিফলিত করে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে ভোটার এবং অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষাসহ একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।
মিলার বলেন, সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য সংবাদপত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা অত্যাবশ্যক। গণমাধ্যম, সুশীল সমাজের সদস্য, বিরোধী দল এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের অবশ্যই ভয় ছাড়াই তাদের মতামত প্রকাশ করতে এবং পরিবর্তনের পক্ষে সহায়তা করতে হবে। ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর শুনতে হবে এবং সম্মান করতে হবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, দুটি দেশ ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব বজায় রেখে এই উদ্বেগগুলোর বিষয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে মতবিরোধ করতে পারে।