রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে সরকার: নজরুল

0

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে জনগণ ‘চুপ’ করে বসে থাকবে না, ‘গণঅভ্যুত্থান’ হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম।

গতকাল শনিবার দুপুরে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)-এর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন ও জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।

নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আপনারা বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলবেন। আর জনগণ তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে-এটা কখনোই হবে না, বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশের মানুষ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা যেমন মানে নাই, তেমনি আপনাদের (সরকার) ষড়যন্ত্রও মানবে না। গণঅভ্যুত্থান হবে। লড়াই হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সকলে প্রস্তুতি নিন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যে হাসপাতাল সেখানকার চিকিৎসকরা বলছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এমন কিছু জটিলতা আছে যেটার সুচিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। আমাদের দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, এরকম অবস্থায় তাঁকে ভালো ও উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের কোনো বাধা নেই। কিন্তু তারপরেও আমাদের দেশের সরকার যারা বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তারা দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসার জন্যে বাইরে যেতে দেবেন না। কেনো দেবেন না তারা? আইন যেখানে বাধা না, প্রয়োজন যেখানে মানবিক, সেখানে বাধার অর্থ কী? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয় এবং এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের জন্য তারা ব্যবহার করছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে, রাষ্ট্র শক্তিকে। আমি শুধু তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, পুলিশ দিয়ে যদি আন্দোলন দমন করা যেতো তাহলে বাংলা আমাদের রাষ্ট্র ভাষা হতো না, সশস্ত্র বাহিনীকে দিয়ে যদি জনগণের আকাক্সক্ষাকে দমন করা যেতো তাহলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। ইতিহাস সাক্ষী জনগণের আকাক্সক্ষায় বাধা হওয়ার ক্ষমতা দুনিয়াতে কারো নাই, এই সরকারেরও নাই।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি এবং সেই কারণেই আমরা চাই, জনগণের আকাক্সক্ষা অনুধাবন করুন, তাদের ক্ষোভ ও কষ্ট আপনারা হৃদয় দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনাদের জন্য তাতে কল্যাণ, দেশের জন্য তাতে কল্যাণ। আর সেটা না করলে যেটা হবে সেটা দেখে গেছেন আইয়ুব খান, সেটা দেখে গেছেন হুসেইন মো. এরশাদ, সেটা দেখেছে আরো বহু বহু শাসকরা। আপনারাও যদি দেখতে চান দেখতে পারেন। ভুল সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখুন, তাহলেই দেখবেন জনগণ কিভাবে আপনাদেরকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির আবু তাহের, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় পার্টির আহসান হাবিব লিংকন, নওয়াব আলী আব্বাস খান, মুজিবুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন, সেলিম মাস্টার প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com